হাঁপানি রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে বহুল প্রচলিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে ইনহেলার (inhaler) ব্যবহার যা দ্বারা ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের ইনহেলার ডিভাইসের আধিক্যের ফলে এগুলোর ব্যবহার নিয়ে রোগীদের মনে দ্বিধার সৃষ্টি হয়।
ডিভাইসগুলোর কৌশলগত বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় রোগীর ব্যক্তিগত চাহিদা, প্রয়োজন এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সঠিক ডিভাইস নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ যেকোনো ঔষধের কার্যকারিতা নির্ভর করে তা রোগী কর্তৃক যথাযথভাবে গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তার ওপর এবং সঠিক মাত্রায় ঔষধ গ্রহণ নির্ভর করে ঔষধ প্রয়োগ সম্পর্কিত সঠিক ডিভাইস নির্বাচন এবং নির্ভুল ব্যবহার পদ্ধতির ওপর।
২০২০ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রশিক্ষণবিহীন রোগীদের ক্ষেত্রে ইনহেলারের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহারের হার ২৭.৭৮%। ইউরোপের অ্যরোসল ড্রাগ ম্যানেজমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট টীমের একটি গবেষণা মতে, ৫০% পর্যন্ত রোগী তাদের ইনহেলার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম নয়। এর ফল নিরূপণস্বরূপ এ সম্পর্কিত আরও গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইনহেলারের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার হাঁপানি রোগের অকার্যকর চিকিৎসার পেছনে একটি প্রধান কারণ এবং এ কারণে হাসপাতাল ভর্তি, জরুরি বিভাগ দর্শন এবং ওরাল স্টেরয়েড ব্যবহার বেড়ে যায়।
ইনহেলার কি এবং কেন ব্যবহৃত হয়?
ইনহেলার হলো সহজে বহনযোগ্য একটি মেডিক্যাল ডিভাইস যা দ্বারা শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রয়োজনীয় ঔষধ পোঁছানো হয়। ইনহেলেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঔষধ ফুসফুসে শোষিত হয় এবং ঔষধ রক্তে মিশ্রিত না হয়ে শরীরের নির্দিষ্ট একটি অংশে সরাসরি ক্রিয়া প্রদানের কারণে এতে তুলনামূলক কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
ইনহেলার মূলত শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ যেমনঃ অ্যাজমা (asthma) বা হাঁপানি, ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD – Chronic Obstructive Pulmonary Disease) ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ঔষধ ডেলিভারিতে ব্যবহৃত হয়। এটির সাহায্যে সংকুচিত বায়ুপথ খুব দ্রুত প্রসারিত হয়। ইনহেলারের মাধ্যমে হাঁপানি রোগের দুই ধরণের ঔষধ প্রয়োগ করা যায়- একটি ধরণ হচ্ছে ‘কন্ট্রোলার’ যেগুলো হাঁপানির লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করতে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহৃত হয়, যেমনঃ Beclomethasone, Fluticasone ইত্যাদি। অন্য ধরণটি হচ্ছে ‘রিলিভার’ যেগুলো হাঁপানির আক্রমণে দ্রুত ক্রিয়া প্রদান করে থাকে, যেমনঃ Albuterol, Salbutamol ইত্যাদি।
হাঁপানি রোগে যেসব ইনহেলার ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- মিটারড ডোজ ইনহেলার (metered dose inhalers) অথবা প্রেশারাইজড মিটারড ডোজ ইনহেলার (pressurized (metered dose inhalers) — এটির সাহায্যে ঔষধকে অ্যারোসল রূপে প্রয়োগ করা হয়। এর ইনহেলেশন টেকনিকে হাত-ফুসফুস সমন্বয়ের দরকার হয়। এক্ষেত্রে শ্বাসগ্রহণ করতে হয় ধীরে ধীরে।
- ড্রাই পাউডার ইনহেলার (dry powder inhalers) — এটির ইনহেলেশন টেকনিকে হাত-ফুসফুস সমন্বয়ের দরকার হয় না। জোরালো ইনহেলেশনের ফলে পাউডার আলাদা হয়ে মসৃণ কণায় পরিণত হয় এবং ফুসফুসে পৌঁছানোর উপযোগী হয়।
- ব্রেথ অ্যাকচুয়েটেড মিটারড ডোজ ইনহেলার (breath actuated metered dose inhaler) — এটির ক্ষেত্রে রোগীর অন্তর্গামী শ্বাস প্রবাহ অ্যারোসলের রিলিজ কে ট্রিগার করে। ফলে মিটারড ডোজ ইনহেলারের মতো অ্যাকচুয়েশন এবং ইনহেলেশনের মধ্যে সমন্বয়ের দরকার পড়েনা।
- সফ্ট মিস্ট মিটারড ডোজ ইনহেলার (soft mist metered dose inhaler) — এর ভিতরে একধরণের সংকুচিত স্প্রিং থাকে যেটির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঔষধের দ্রবণ কে একটি ক্যাপিলারির মধ্য দিয়ে ধাক্কা দেয়া হয়। ফলে দ্রবণ অ্যারোসলে রূপান্তরিত হয়ে কম বেগসম্পন্ন মেঘের মতো সৃষ্টি করে।
- নেবুলাইজার (nebulizer) — এটি সাধারণত বাচ্চাদের, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি তরল ঔষধ কে ইনহেলেশন যোগ্য স্প্রে তে পরিণত করে। ব্যবহারেরর সময় মুখ এবং নাকের উপর একটি মাস্ক দেয়া হয়। মুখ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট শ্বাস নিয়ে অ্যাম্পুল থেকে হাই ডোজ ঔষধ নেয়া হয়।
সঠিক ইনহেলার বাছাইকরণ/ Choosing the Right Inhaler
হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরণের ইনহেলার ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেকটা ডিভাইসের ডিজাইন, হ্যান্ডলিং কৌশল, ইনহেলেশন প্রক্রিয়া অন্যান্য ডিভাইস থেকে আলাদা। এখন পর্যন্ত এমন কোনো আদর্শ ডিভাইস আবিস্কৃত হয়নি যেটি সব ধরণের রোগীর জন্য উপযুক্ত। রোগীর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উপযুক্ত ডিভাইস বেছে না নিলে রোগ নিয়ন্ত্রণ অসন্তোষজনক এবং ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
একটি সঠিক ইনহেলার নির্বাচন করতে রোগী-সম্পর্কিত যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে তা হলো:-
- রোগের মাত্রা
- কোমর্বিডিটি (comorbidity) বা সমবর্তী অন্যান্য রোগ
- ম্যানুয়াল বা হস্তসাধিত দক্ষতা
- বাতজনিত সমস্যা
- বয়স
- লিঙ্গ
- উচ্চতা
- কগনিটিভ (cognitive) ফাংশন
বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাবের উপর ভিত্তি করে একজন নির্দিষ্ট রোগীর জন্য ইনহেলার ডিভাইস নির্বাচন করা উচিত।
প্রথম প্রশ্নঃ একটি গভীর, দ্রুত এবং ঐচ্ছিক (Voluntary) ইনহেলেশন সম্ভব কিনা?
রোগীর পক্ষে যদি এটি সম্ভব না হয় অথবা এটি করতে রোগীর যদি কোনো অস্বস্তি বা সমস্যা বোধ হয়, তাহলে সেই রোগীর জন্য ড্রাই পাউডার ইনহেলার উপযুক্ত হবেনা।
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ অন্তর্মুখী শ্বাস প্রবাহ (Inspiratory flow) পাওয়া সম্ভব কিনা?
অনেক সময় রোগীর ফুসফুসের আয়তন কম হওয়ায় রোগী পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্বাস প্রবাহ তৈরি করতে সক্ষম হয়না। সফলভাবে ফুসফুসে ঔষধ পৌঁছানোর জন্য প্রত্যেকটা ডিভাইসের ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম শ্বাস প্রবাহের দরকার হয় ইনহেলেশনের সময়। ড্রাই পাউডার ইনহেলারের তুলনায় প্রেশারাইজড মিটারড ডোজ ইনহেলারের ক্ষেত্রে কম পরিমাণ শ্বাস প্রবাহের দরকার হয় (>১০ লিটার/মিনিট)। ড্রাই পাউডার ইনহেলারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রবাহের পরিমাণ >২০-৬০ লিটার/মিনিট। এ কারণে ড্রাই পাউডার ইনহেলার ব্যবহারের সময় পর্যাপ্ত শ্বাস প্রবাহের অভাব থাকলে রোগ অনিয়ন্ত্রিত থেকে যায় এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।
তৃতীয় প্রশ্নঃ রোগীর পর্যাপ্ত হাত-ফুসফুস সমন্বয় দক্ষতা আছে কিনা?
হাত-ফুসফুস সমন্বয় বলতে বোঝায় একই সাথে হাত দিয়ে ডিভাইস চালু করে রাখা এবং ধীরে ধীরে কয়েক সেকেন্ড ধরে ইনহেল করা। এ ব্যাপারে রোগীর অদক্ষতা বা অক্ষমতা থাকলে একটি স্পেসার (Spacer) সহ প্রেশারাইজড মিটারড ডোজ ইনহেলার অথবা ব্রেথ অ্যাকচুয়েটেড ইনহেলার দিতে হবে। সফ্ট মিস্ট ইনহেলার ও দেয়া যেতে পারে স্পেসার সহ।
ইনহেলার ব্যবহারে সাধারণ ভুলসমূহ/ Common Mistakes in Inhaler Use
- ইনহেলার ব্যবহারের পূর্বে পুরোপুরি শ্বাসত্যাগ না করা। এতে করে পরবর্তী শ্বাসগ্রহণের জন্য ফুসফুসে পর্যাপ্ত জায়গা থাকেনা।
- ব্যবহারের পূর্বে ইনহেলার ঝাঁকিয়ে নিতে ভুলে যাওয়া।
- খুব দ্রুত অথবা খুব ধীরে শ্বাসগ্রহণ করা।
- দুটো ফুঁকার মাঝে অপেক্ষা না করা।
- ইনহেলারের চারপাশে ঠোঁটগুলো ভালোমতো আটকে না ধরা। এতে করে ঔষধ বের হয়ে যায় এবং ফুসফুসে সম্পূর্ণ ডোজ পৌঁছায়না।
- স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের পর ভালোমতো মুখ পরিষ্কার না করা। এ কারণে মুখে সংক্রমণ হয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে।
ইনহেলারের সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি/ Correct Use of Inhalers
- প্রথমে মাউথপিসের কভার খুলে নিতে হবে, ডিভাইসটি খুলতে হবে এবং সঠিক পজিশনে ধরতে হবে।
- এরপর ডোজ প্রস্তুত করতে হবে। অ্যারোসল ইনহেলারের ক্ষেত্রে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে এবং ড্রাই পাউডার ইনহেলারের ক্ষেত্রে ডোজ লোড করে নিতে হবে।
- ইনহেল করার পূর্বে যতটা সম্ভব স্বস্তির সাথে শ্বাসত্যাগ করে নিতে হবে। (ইনহেলারের মধ্যে নয়)
- মাউথপিস মুখের মধ্যে নিতে হবে এবং ঠোঁট দিয়ে চারপাশ আবদ্ধ করে দিতে হবে যাতে বাতাস বের হতে না পারে।
- এরপর শ্বাসগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইনহেলেশন এবং অ্যাকচুয়েশনের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। মিটারড ডোজ ইনহেলারের ক্ষেত্রে আস্তে ধীরে শ্বাসগ্রহণ করতে হবে, ড্রাই পাউডার ইনহেলারের জন্য তা হবে দ্রুত এবং গভীর।
- শ্বাসগ্রহণের পর মুখ থেকে ইনহেলার টি সরিয়ে ফেলতে হবে এবং প্রায় দশ সেকেন্ড এর মতো নিঃশ্বাস ধরে রাখতে হবে।
- মাউথপিস কভারটি যথাস্থানে রেখে ডিভাইস বন্ধ করতে হবে।
- প্রয়োজনে ডিভাইস পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
এছাড়া বিভিন্ন ধরণের ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু পৃথক ভুল বা ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। ইনহেলারের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিভাইস দুটি হলোঃ মিটারড ডোজ ইনহেলার এবং ড্রাই পাউডার ইনহেলার।
মিটারড ডোজ ইনহেলার ব্যবহারে সম্ভাব্য ভুলসমূহ
- ইনহেলেশনের আগেই ডিভাইস সক্রিয় করে ফেলা।
- ইনহেলেশন সাপেক্ষে দেরীতে ডিভাইস সক্রিয়করণ করা।
- খুব দ্রুত ইনহেল করা।
- ক্যাপ খুলতে ব্যর্থ হওয়া।
- ডিভাইস চালু করতে ব্যর্থ হওয়া।
সমাধানের উপায়
- স্পেসার সহ ব্যবহার করা।
- ব্রেথ অ্যাকচুয়েটেড মিটারড ডোজ ইনহেলারে পরিবর্তিত হওয়া।
- আল্ট্রা-ফাইন পার্টিকেল ইনহেলারে পরিবর্তিত হওয়া।
ড্রাই পাউডার ইনহেলার ব্যবহারে সম্ভাব্য ভুলসমূহ
- ডোজ প্রস্তুত করার পর ঝাঁকানো।
- ক্যাপ সরাতে ব্যর্থ হওয়া।
- মাউথপিস খোলার জন্য লিভার সরাতে ব্যর্থ হওয়া।
- ইনহেলেশন প্রথম থেকেই জোরালো না হওয়া।
- মাউথপিসের মধ্য দিয়ে ইনহেল করতে ব্যর্থ হওয়া।
- নাক দিয়ে ইনহেল করা।
- নিঃশ্বাস ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়া।
সমাধানের উপায়
- প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া।
- ট্রেইনার ডিভাইস ব্যবহার করে রোগীর শ্বাসগ্রহণ ত্বরান্বিত করা।
সর্বোপরি, ত্রুটি রোধ এবং চিকিৎসায় সাফল্য পেতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজনঃ
- রোগীদের উপযুক্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের অভাব তদন্ত করা।
- রোগীদের জন্য সহজে বোধগম্য এবং মনে রাখতে পারার মতো সরল এবং স্পষ্ট শিক্ষা অপরিহার্য।
- অডিও অথবা ভিডিও রেকর্ডিং এর মাধ্যমে শেখানো।
- অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডাক্তারের নির্দেশনা বুঝতে না পারা এবং ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে রোগীদের। সেক্ষেত্রে ফার্মাসিস্ট এবং মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট/নার্স স্টাফ কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করে ত্রুটির হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
- সম্ভব হলে বিভিন্ন ধরণের ডিভাইস প্রেসক্রাইব করা কমিয়ে দেয়া। একই ধরণের ডিভাইস প্রেসক্রাইব করার চেষ্টা করা।
- রোগীর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সঠিক ডিভাইস নির্বাচন করা।
ইনহেলারের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার শুধু রোগ নিয়ন্ত্রণকেই ব্যর্থ করেনা, এটি চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় বাড়ায় এবং সীমিত স্বাস্থ্য সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধি করে। হাঁপানি রোগের লক্ষণ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে, চিকিৎসায় এবং স্বাস্থ্য সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে উপযুক্ত ইনহেলার নির্বাচন এবং সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি অনুসরণের বিকল্প নেই।
তথ্যসূত্র
- Schreiber J, Sonnenburg T, & Luecke E. Inhaler devices in asthma and COPD patients – a prospective cross-sectional study on inhaler preferences and error rates. BMC Pulm Med. 2020;20(1):222. Available from here
- Crompton GK, Barnes PJ, Broeders M, Corrigan C, Corbetta L, Dekhuijzen R, Dubus JC, Magnan A, Massone F, Sanchis J, Viejo JL, Voshaar T, Aerosol Drug Management Improvement Team. The need to improve inhalation technique in Europe: a report from the Aerosol Drug Management Improvement Team. Respir Med. 2006;100(9):1479–94. Available from here
- Usmani OS, Lavorini F, Marshall J, Dunlop WCN, Heron L, Farrington E, Dekhuijzen R. Critical inhaler errors in asthma and COPD: a systematic review of impact on health outcomes. Respir Res. 2018;19(1):10. Available from here
- Inhaler. Wikipedia. 2022. Available from here
- Asthma medications: Know your options. Mayo Clinic. 2020. Available from here
- Preventer/Controller Inhalers | Asthma Society of Ireland. Asthma.ie. 2022. Available from here
- Cataldo D, Hanon S, Peché RV, et al. How to Choose the Right Inhaler Using a Patient-Centric Approach?. Adv Ther. 2022;39(3):1149-1163. Available from here
- Common inhaler mistakes | Asthma UK. Asthma + Lung UK. 2022. Available from here
- Murphy A. How to help patients optimise their inhaler technique – The Pharmaceutical Journal. The Pharmaceutical Journal. 2016. Available from here
- The importance of good inhaler technique. Vitalograph. Available from here