আমরা যখন কোনো রোগে আক্রান্ত হই তখন দু’টি বিষয় আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়।
- এক. যদি আগে থেকে সচেতন হতাম তাহলে হয়তো রোগটি হতো না,
- দুই. সঠিক চিকিৎস্যা যা থেকে আমাদের রোগ থেকে মুক্ত করবে।
এই সচেতনতা এবং কোথায়, কখন, কার কাছে গেলে যথোপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে ধারণা থাকাকেই আমরা বলছি পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যজ্ঞান বা হেলথ লিটারেসি (Health Literacy)। এটি আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে, অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যজ্ঞান প্রেসক্রিপশন নির্দেশনা বুঝতে না পারা, ভুল ব্যবহারের জন্য ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া এবং ১৭% পর্যন্ত প্রতিরোধযোগ্য চিকিৎস্যা ব্যয় বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
শুধু তাই নয়, এটি দীর্ঘ্যস্থায়ী রোগ, অতিরিক্ত ঔষধের ব্যবহার, অধিক হাসপাতাল ভর্তি ও বারংবার ব্যয়বহুল জরুরি সেবা নিতে মানুষকে বাধ্য করে। এই অভাবটি সাধারণত জটিল রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ রোগী, অল্প শিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন কিংবা সমাজের নিম্নশ্রেনীতে প্রবলভাবে দেখা যায়। বিশেষত যারা এমন কিছু বদ্ধমূল ধারণাকে লালনকারী; যা তাদেরকে সমাজ-সম্প্রদায় বা পারিপার্শ্বিকতা থেকে স্বাস্থ্য বা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, নিজের অসুস্থতা, এবং ওষুধ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা পেতে বাধা দেয়।
কিন্তু এর মানে এই নয় যে অভাবটি উচ্চশিক্ষিত বা ধনীদের মাঝে নেই। উচ্চশিক্ষিত কিন্তু সচেতনতার অভাব, এমন রোগীদের হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে অন্যদের চেয়ে বেশি ছোটাছুটি করতে দেখা যায় — যেমনটি বলছে লন্ডনভিত্তিক বায়োমেড সেন্ট্রাল রিসার্চ।
‘স্বাস্থ্য’ একটি সিরিয়াস টপিক এখানে তো মজার কিছু থাকতে পারেনা — এমনটি ভাবছেন যারা তাদের জন্য বলি, সায়েন্টিফিক আমেরিকা জার্নালে গতবছরের একটি আর্টিকেলে দেখলাম মানুষের ব্রেইনের ধারণক্ষমতা ২.৫ মিলিয়ন গিগাবাইট। আজ অবধি আপনি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে, পেপার-ম্যাগাজিন ঘেটে যতটুকু জেনেছেন তাতে মাত্র ১ গিগাবাইটের বেশি মেমোরি খরচ হবার কথা না।
একবার ভেবে দেখুন তো, আপনি কি বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ‘ক’ থেকে ‘চন্দ্রবিন্দু’ পর্যন্ত সঠিক সিরিয়ালে বলতে পারেন? কি পারছেন না বুঝি? অথচ মান্না দে’র মন ছুয়ে যাওয়া ‘কফিহাউস’ গানটা কিন্তু ঠিকই গুনগুন করে গাইতে পারেন। কম্পিউটারে যেমন সঠিকভাবে সেভ না করলে তথ্য সময়মতো খুঁজে পাওয়া যায় না তেমনি আপনিও আমার মতোই একঘেয়েমিতে ভরা শিক্ষাব্যবস্থার শিকার — যা পড়েছি বেশির ভাগই ভুলে গেছি। আসলে যা কিছু আমাদের বাস্তব জীবনে সবসময় কাজে লাগেনা বা আমরা যা কিছু মনোযোগ দিয়ে শুনিনি, ব্রেইন সেগুলোকে ডরমেন্ট করে রাখে। স্বাস্থ্যজ্ঞান তেমনি একটি বিষয়, যদি দৈনন্দিন জীবনে বারবার এর চর্চা না করা হয় তাহলে জানলেও আমরা মনে রাখতে পারবোনা, তাই একটু ভিন্নভাবে বলা। ফিরে আসি মূল আলোচনায়।
স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা কিংবা স্বাস্থ্যজ্ঞান, দুটোই সারা পৃথিবীতেই কম-বেশি অবহেলার শিকার। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী মাত্র ১২% আমেরিকানের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যজ্ঞান বা হেলথ লিটারেসি আছে। আচ্ছা? তাহলে নেই ক’জনের?
নেই আমেরিকা আর বৃটেনের প্রায় ৪০% এর, ইউরোপিয়ান জনসাধারণের অর্ধেকের, আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় ৬০% এর এবং লজ্জা-জনকভাবে চীনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশের। সারা বিশ্বে প্রযুক্তির জোয়ার বইয়ে দেয়া চীন ২০১৬ সালে “হেলথ চায়না ২০৩০” প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল জাতীয় পর্যায়ে হেলথ লিটারেসিকে ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০% এ উন্নীত করতে যেটি ২০২০ এ মাত্র ২০% ছুঁয়েছিল। বিগত ৩-৪ দিনে দ্যা গার্ডিয়ান, সিএনএন, রয়টার্স কিংবা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে যে ফলাও করে লেখা হচ্ছে চীনের ৮০% জনতা লকডাউন দেয়ার পরেও কোভিডে আক্রান্ত — কারণটা কি ধরতে পারছেন? শুধু কি তাই? বিএমসি পাবলিক হেলথের চলতি মাসে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি’র স্বাস্থ্য-সেবাদানকারীদের প্রতি ৫ জনের ৪ জনেরই হেলথ লিটারেসি’র গুরুতর অভাব।
এশিয়া’র অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকংয়ের আড়াইশো’র বেশি স্কুল লিডারদের উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গিয়েছিল অর্ধেকের বেশিই স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন না, যা তাদের করোনার ভ্যাকসিনের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের জন্য দায়ী। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতোই জার্মানিতেও হেলথ লিটারেসি অর্ধেক জনসাধারণের মাঝে সীমিত, জানেন কি জার্মানি’র মতো দেশে এখনো প্রতি চার বা পাঁচ জনের একজন ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ সম্পন্ন করেননি যেখানে কোনো কোনো উন্নত দেশে চতুর্থ ডোজ দেয়া হচ্ছে? যেমন বাংলাদেশ।
যাই হোক, ঘটনাটি কিন্তু গোটা ইউরোপের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের ক্ষেত্রেও সত্য। ইউরো-ডোমেইনের কিছু দেশ যেমন লাটভিয়া, বুলগেরিয়া, লিথুনিয়া আর ইউক্রেনে হেলথ লিটারেসি ২৫% এর কম। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয় ২০২২ সালে, হয়তো ভাববেন এজন্য তাদের মাত্র ৪০% ভ্যাকসিন নিতে পেরেছে। কিন্তু ২০২১ এর অক্টোবর পর্যন্ত ইউক্রেনে ভ্যাকসিন নিয়েছিলো মাত্র ১৫%। আধুনিক শিক্ষার যুগে চেক রিপাব্লিকের হেলথ লিটারেসি ২০১৬’র চেয়ে ২০১৮তে কম পাওয়া গিয়েছিল। আজকের দিনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস কোনো জৈব-রাসায়নিককে নয় বরং হেলথ লিটারেসিকে করোনা’র ‘সামাজিক ভ্যাকসিন’ বলে ঘোষণা দিয়েছে। আর করোনা আসার আগেই ২০১৯ এ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে যেকোনো ধরণের ভ্যাকসিনের প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রথম ১০টি হুমকির একটি।
অশিক্ষাকে যদি অর্থনৈতিক মানদন্ডে পরিমাপ করা যায় তাহলে ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাপী ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার — আজকে শুধু হেলথ লিটারেসি’র অভাবে আমেরিকার ক্ষতি ২৩৮ বিলিয়ন ডলার, বছরপ্রতি।
পৃথিবী জুড়ে উন্নত বা অনুন্নত সব শেষেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যজ্ঞান নেই কম-বেশি অর্ধেক মানুষের — বলছে এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ এন্ড পাবলিক হেলথের ২০২২ এর একটি রিভিউ। তাহলে মাত্র ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি’র এই পৃথিবী প্রতি বছর কতখানি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে? এতসব অর্থনীতির মারপ্যাচ লিখতে বিব্রত বোধ করছি, কিন্তু সত্যিটা এইযে গবেষণার বেশিরভাগ উন্নত বিশ্বে হয় আর তাদের লেখায় এগুলোই প্রাধান্য পায়। যেমন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অনেক বেশি বলা হচ্ছিলো যে যুদ্ধে ইউক্রেনের জিডিপি ফল করছে ৩৫%, অধিকৃত চারটি অঞ্চল থেকে রাশিয়া’র জিডিপি বাড়বে ২.৫%।
খুব কমই বলা হয়েছে যে বিশ্বের প্রতি ৮ জন এইচআইভি রোগীর ১ জন ইউরোপের বাসিন্দা আর ইউক্রেন এইচআইভি’, ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা, হাম, পোলিও, ভাইরাল হেপাটাইটিস বি এবং সি’র স্বর্গরাজ্য। যদি ১২ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় রিফিউজি’র ৬ মিলিয়ন এখন ইউরোপ থেকে দেশে ফিরে আসে তাহলে কে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ? এই চরম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা খুব কমই হয় কারণ ঐসব তথাকথিত উন্নত দেশে ‘স্বাস্থ্য’ বিশেষ কোনো প্রায়োরিটি নয়। যুদ্ধকে বাদ দেই, সারা বিশ্বে প্রতি বছর যে ৩০০ মেট্রিক টনের বেশি মরফিন গোত্রের ব্যথানাশক ঔষধের ব্যবহার বা প্রকারান্তরে অপব্যবহার হয়, তার ৯৯% এর বেশি এই উন্নত কিন্তু স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন দেশগুলোতেই হয়। কারণ দীর্ঘ্যস্থায়ী ব্যথায় ভুগতে থাকা রোগীরা সঠিক দিকনির্দেশনা আর অতিনির্ভরশীলতার ফলাফল সম্পর্কে ধারণার অভাবে ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চতুর্থ ধনী দেশ ও বিশ্বের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্যসেবার রেটিং পাওয়া নেদারল্যান্ডসে অর্ধেকের বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কোনো শিক্ষামূলক উপকরণ দিতে কার্পণ্য করেন অথবা দেয়া থেকে বিরত থাকেন।
পৃথিবীর ৮০% মানুষ মূলধারার চিকিৎস্যা-ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বিকল্পধারার আয়ুর্বেদ, ইউনানি বা কোনো হারবাল চিকিৎস্যার উপর বেশি আস্থা রাখেন। জানার বিষয় হচ্ছে এই বিকল্প-ব্যবস্থাগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোয়ালিটি বা রেগুলেটরি কন্ট্রোল খুব দুর্বল হয়ে থাকে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে। ঔষধ বা চিকিৎস্যা এমন একটি সেক্টর যার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব কমই ধারণা রাখেন। সুযোগটি নেয় কোনো হাতুরে কবিরাজ, বৈদ্য কিংবা হেকিম। কোনো কিংবা টিভি স্ক্রলে চটকদার ভাষা ব্যবহারে কেউই পিছপা হননা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অর্থ বা চিকিৎস্যা কোনোকিছুরই অভাব নেই, তবু সেখানকার ডায়াবেটিস রোগীরা গাইডলাইন মেনে চলেন না প্রচলিত চিকিস্যা-ব্যবস্থার উপর সন্দেহ আর অবিশ্বাসের কারণে। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত এবং এখনো চীনের সাথে লড়ে যাওয়া তাইওয়ান শুধু যে মাথাপিছু নিট আর্থিক সম্পদের ক্ষেত্রে বিশ্বে পঞ্চম স্থান দখল করেছে তাই নয়, বরং তাদের ডায়াবেটিস রোগীদের ৮০% এর হেলথ লিটারেসিও সন্তোষজনক।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া’র হিসাবে সরকার ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে মাদকাসক্তি নির্মূলে। দু’টি ভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ৪০% আমেরিকান যেকোনো রোগে আধ্যাত্মিক জাদু-টোনায় বিশ্বাসী এবং আমেরিকায় ৭০% এর চেয়ে বেশি মাদকাশক্তি নির্মূলে এমনি কোনো আধ্যাত্মিক শক্তির ব্যবহার হয়। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে বিশেষ করে ভারত এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায় মহিলাদের রজঃস্রাবকে অশূচি হিসেবে গণ্য করা হয়। দু:খের সাথে বলা লাগে যে আজও ভারতের ৮০%-৯০% মহিলা এক্ষেত্রে পুরোনো কাপড়, বালি, ছাই, কাঠের গুড়া, কাগজ, শুকনো পাতা বা ভুষির গুঁড়া ব্যবহার করেন। খেয়াল করুন, ৯০% ভারতীয়দের আছে স্বাস্থ্যজ্ঞানের তীব্র অভাব এবং খোলা আকাশের নিচে মল-ত্যাগ করা পৃথিবীর ৯০% মানুষেরা ভারত ও সাব-সাহারান আফ্রিকা’র বাসিন্দা। ভারতীয়দের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা বাংলাদেশীরা কিন্তু কোনো অংশে কম নই। হেলথ লিটারেসি আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় আসলে কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে? রমজানের ছোলা-বুটের নামে মেয়াদোত্তীর্ণ নিম্নমানের পশুখাদ্য “ভেচ” আমদানি, মিষ্টিতে মেয়াদোত্তীর্ণ গুঁড়া দুধ, তরল দুধে ফরমালিন আর মেলামাইন, জ্বাল দেয়া পাম অয়েলের নাম কনডেন্সড মিল্ক, সেমাই’তে সাবানের চর্বি, সমুচায় মুরগির নাড়িভুঁড়ি, মুরগিতে এন্টিবায়োটিক আর মুরগির ফীডে ট্যানারি’র বর্জ্য, যা থেকে হতে পারে টিউমার — এমন কত কি খবরের কাগজে রোজই পড়ছি, পড়ে ভুলেও যাচ্ছি।
হেলথ লিটারেসি’র প্রয়োজনীয়তা যেকোনো যুক্তি-তর্কের ঊর্ধ্বে কিন্তু বাড়ানোর জন্য কোথাও যথেষ্ঠ উদ্যোগ নেয়া হয়না। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত করা যেতে পারে, যার জন্য বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সেবাদানকারী ডাক্তার-নার্স কিংবা হাসপাতাল স্টাফদের মধ্যেও সদিচ্ছার ঘাটতি আবার অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে রোগীকে রোগ কিংবা ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন সম্পর্কে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজনীয় ট্ৰেইনিং এর অভাব দেখা যায়। উন্নত বিশ্বে তো বটেই, আমাদের দেশেও একাজটি ত্বরান্বিত করতে ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু ফার্মেসী শিক্ষার দুরবস্থা, সঠিক নেতৃত্ব, প্রণোদনা আর দিকনির্দেশনার অভাব রোগীদের কাছে এই ফার্মাসিস্টদের ঔষধবিক্রেতাই বানিয়ে রেখেছে। সর্বোপরি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরো যোগ্য, দূরদর্শী, পারদর্শী এবং মিশন ভিত্তিক নেতৃত্ব চাই স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আর মানুষকে আরো বেশি নিজের প্রতি সচেতন করতে। তখনই সম্ভব যদি, শিক্ষা আর স্বাস্থ্য প্রশাসনকে নিয়ে একটি সমান্তরাল প্রশাসনিক কাঠামো তৈরী ও মনিটরিং করা যায়।