বর্তমানে ড্রাগ অপব্যবহার এবং ড্রাগ আসক্তি বিশ্বে একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে রূপ নিয়েছে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ৫.৫% মানুষ ‘সাইকোঅ্যাক্টিভ’ বা ‘চিত্তপ্রভাবকারী’ ড্রাগের অপব্যবহার করছে এবং বিশ্বে প্রায় ৩৬.৩ মিলিয়ন মানুষ এ ধরণের ড্রাগ আসক্তির ফলজনিত সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশেও এই সমস্যার ক্রমশ ঊর্ধ্বগতি লক্ষণীয়। বহুল ব্যবহৃত ড্রাগ, যেমন: ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজার পাশাপাশি এখন নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বা ‘আইস’ এর অপব্যবহার এবং আসক্তি। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা দেশের জন্য এ ধরণের আসক্তির প্রভাব ভয়াবহ। বিশেষ করে যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে ড্রাগ আসক্তির ভয়ংকর ছোবলে পড়ে। ফলস্বরূপ দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। কাজেই ড্রাগ অপব্যবহার এবং আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব এবং এক্ষেত্রে করণীয় দিক সম্পর্কিত জ্ঞান সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া এখন একটি সময়োপযোগী প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ড্রাগ অপব্যবহার এবং আসক্তি কি?
ড্রাগ অপব্যবহার বলতে বোঝায় চিকিৎসা ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে ওষুধের অত্যধিক, অস্বাভাবিক বা আসক্তি মূলক ব্যবহার যার কারণে মনস্তাত্ত্বিক, শারীরিক এবং সামাজিক সমস্যা উদ্ভূত হতে পারে। সাধারণত মানুষ আনন্দদায়ক অনুভূতি এবং উত্তেজনা বাড়াতে ড্রাগ এর অপব্যবহার করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ড্রাগ সেবনের ফলে ড্রাগের সাথে মানুষের দৈহিক ও মানসিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ড্রাগ নেয়াটা একধরণের বাধ্যতামূলক অভ্যাসে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ড্রাগ নেয়া ছেড়ে দিলে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন অবস্থাকে ড্রাগ আসক্তি বা মাদকাসক্তি বলা হয়। মানসিক যন্ত্রণা লাঘব, হতাশা দূরীকরণ, কৌতূহলবশত, সঙ্গদোষ, নিজেকে বেশি কার্যক্ষম করা, পারিবারিক অশান্তি এবং পারিবারিক অভ্যাসগত কারণে মানুষের ড্রাগ আসক্তি সৃষ্টি হতে পারে।
মস্তিষ্কে ড্রাগ কিভাবে ক্রিয়া করে?
মানুষের মস্তিষ্কের কোষ বা নিউরনগুলো কিছু বার্তাবাহকের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। এই বার্তাবাহকগুলোকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার। সাইকোঅ্যাক্টিভ ড্রাগসমূহ মস্তিষ্কে বিভিন্ন উপায়ে ক্রিয়া প্রদান করে থাকে, যা মূলত নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর উপর প্রভাবের সাথে সম্পর্কিত। বিভিন্ন ধরণের নিউরোট্রান্সমিটারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: এপিনেফ্রিন (Epinephrine), নরএপিনেফ্রিন (Norepinephrine), ডোপামিন (Dopamine), সেরোটোনিন (Serotonin) ইত্যাদি। কিছু ড্রাগ নির্দিষ্ট কোনো নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়ে প্রভাব সৃষ্টি করে, আবার কিছু ড্রাগ নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করে। তবে এ ধরণের ড্রাগের ক্ষেত্রে বেশি লক্ষণীয় ক্রিয়া হচ্ছে ডোপামিন নিষ্কাশন। ড্রাগ ব্রেনের বার্তাবহ ব্যবস্থার ক্রিয়া বাড়িয়ে দিলে ডোপামিন ক্ষরণ হতে থাকে এবং মস্তিষ্কে এক ধরনের আরামদায়ক অনুভূতি হয়। মস্তিষ্কে সেই অনভূতি বারবার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। এভাবেই ড্রাগের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। নিয়মিত সেবনের ফলে মস্তিষ্কে সচেতন অবস্থার ঘাটতি দেখা দেয়। দীর্ঘদিন ধরে ড্রাগের নেশা ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশন (cognitive function) বা পরিস্থিতি অনুযায়ী চিন্তা করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। নিয়মিত ব্যবহার মস্তিষ্কের যেসব অংশ শিক্ষা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ব্যবহার ইত্যাদির সাথে জড়িত সেগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর পাশাপাশি আসক্ত ব্যক্তি ডিপ্রেশন ও অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে ড্রাগ বা মাদকাসক্তি
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর সমীক্ষা হতে এ তথ্য জানা যায়। তবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে এ সংখ্যা ৭০ লাখের কাছাকাছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মাদকের সংখ্যা ২৭। অধিক ব্যবহারকৃত ড্রাগের মধ্যে ইয়াবা, গাঁজা, হিরোইন, ফেনসিডিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নতুন যে মাদক উদ্বেগ ছড়াচ্ছে তা হলো- ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। বাংলাদেশে প্রথম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে। মোহাম্মদপুর, ঢাকা থেকে থেকে আট গ্রাম ক্রিস্টাল মেথসহ তিন জনকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন ৫২২ গ্রাম মেথসহ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে একজন নাইজেরীয় নাগরিককে আটক করা হয়। একই বছর ঢাকার জিগাতলায় আইসের একটি অত্যাধুনিক ল্যাবের সন্ধান পাওয়া যায়।
‘ক্রিস্টাল মেথ – Crystal meth’ বা ‘আইস’ কি?
ক্রিস্টাল মেথ/ Crystal meth হচ্ছে ক্রিস্টাল মেথামফেটামিনের (methamphetamine) সংক্ষিপ্ত রূপ। মেথামফেটামিনের রাসায়নিক নাম এন-মিথাইল-১-ফেনাইল-প্রোপান-২-অ্যামিন। সংক্ষেপে বলা হয় ‘মেথ’ যা দেখতে গ্লাসের ভাঙ্গা টুকরো অথবা স্বচ্ছ সাদা পাথরের মতো। স্ফটিক আকারের মেথকে ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বলা হয়। অনেকের কাছে এটি শুধুমাত্র ‘আইস’ নামেও পরিচিত। এটি একটি শক্তিশালী এবং উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন ড্রাগ, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। সুখকর অনুভূতি, সক্রিয়তা বাড়ানোর পাশাপাশি যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এই মাদক বেশ পরিচিত। ইয়াবার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর এ মাদক। ক্রিস্টাল মেথে শতভাগ অ্যামফিটামিন বিদ্যমান থাকে যেখানে ইয়াবা ট্যাবলেটে অ্যামফিটামিন থাকে মাত্র পাঁচ ভাগ। ক্রিস্টাল মেথ সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করানো যায়, মুখ দিয়ে খাওয়া যায়, পাউডার করে নাক দিয়ে টানা যায় কিংবা সিগারেটের মতো ধূমপান করা যায়। সিরিঞ্জ দিয়ে নিলে এর কার্যকারিতা শুরু হয় ৪০-৫০ সেকেন্ডের মধ্যে। পাউডার করে গ্রহণ করলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু হয়। আর ট্যাবলেট হিসেবে গ্রহণ করলে কার্যকারিতা শুরু হয় ৩০-৪০ মিনিট পর যার প্রভাব থাকে তিন থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত।
ক্রিস্টাল মেথ এর ইতিহাস
১৮৮৭ সালে জার্মানিতে সর্বপ্রথম অ্যাম্ফিটামিন/ amphetamine তৈরি করা হয়। তখন এটির ব্যবহার তেমন উপকারী ছিলোনা। পরবর্তীতে ১৯১৯ সালে জাপানে আরও উপকরী ফলাফল পেতে এটি তৈরি করার পদ্ধতি উন্নীতকরণ করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিকদের জাগ্রত এবং নির্ভীক রাখতে এই ড্রাগ ব্যবহার করা হতো। যুদ্ধবিমানের পাইলটদের এ ড্রাগের অধিক মাত্রাসম্পন্ন এক ধরণের ট্যাবলেট দেয়া হতো, যার নাম ছিলো পারভিটিন (pervitin)। যুদ্ধের পরও এর ব্যবহার চলতে থাকে। ১৯৫০ সালে এটিকে স্থূলতা এবং ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো। ১৯৬০ সালে সহজলভ্যতার কারণে এর অপব্যবহার শুরু হয়ে যায় এবং ১৯৯০ সালের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর অপব্যবহার বিস্তার লাভ করে। এটি ছড়িয়ে যায় ইউরোপ, আমেরিকা, চেক রিপাবলিক ও এশিয়াসহ পুরো বিশ্বে। বর্তমানে এটি ওশেনিয়া, হল্যান্ড, ও বেলজিয়ামে বেশি উৎপাদিত হয়।
ক্রিস্টাল মেথ এর ব্যবহার এবং ক্ষতিকর প্রভাব
চিকিৎসকের পরামর্শে স্বল্প থেকে মাঝারি মাত্রায় ক্রিস্টাল মেথ এর প্রয়োগ নিম্নলিখিত পরিবর্তন ঘটাতে পারে-
- মনের ভাব পরিবর্তন করতে পারে,
- সক্রিয়তা বাড়াতে পারে,
- ক্ষুধা কমাতে পারে,
- ওজন কমাতে পারে,
- দৈহিক শক্তি বাড়াতে পারে এবং
- যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
ক্রিস্টাল মেথ মনোযোগহীনতা ও স্থূলতার চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একসময় এটি পার্টি ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে বিনোদনমূলক ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এর সাইকোঅ্যাকটিভ প্রভাব ভয়াবহ। তাই ইদানীং মাদক গবেষকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিস্টাল মেথ। এই মাদক সেবনে নিম্নলিখিত প্রতিক্রিয়া হয়ঃ-
- দেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে।
- শারীরিক উত্তেজনা বেড়ে যায়।
- মানুষকে জাগ্রত রাখে।
- ড্রাগ নেয়া ছেড়ে দিলে আসক্তদের শরীর ক্লান্ত থাকলেও এটি ছাড়া তারা ঘুমাতে পারেন না।
- এ ড্রাগের ব্যবহার স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, দন্তক্ষয়, স্থায়ী হ্যালুসিনেশনসহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। স্নায়ুকোষ ধ্বংস হয় এবং মানুষকে আক্রমণাত্মক ও সহিংস করে তোলে।
- এর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কে সেরিব্রাল প্যালসির কারণে স্ট্রোক হয়। মস্তিষ্কে স্থায়ী সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। যার কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় এবং চিরতরে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- এ ড্রাগ সেবনের পর ক্ষণিকের জন্য মন থেকে দুঃখ, হতাশা দূর হয়ে যায়, আসক্ত নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করে। নেশার প্রভাব কেটে গেলে বাস্তবের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়না । ফলে আরো বেশি হতাশায় নিমজ্জিত হয়। এ হতাশায় অনেকে আত্মহত্যা করে।
- মস্তিষ্কে সেরাটোনিন ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে সুখের অনুভূতি সৃষ্টি হয় কিন্তু অতিরিক্ত সেরাটোনিন ক্ষরণের ফলে একসময় এর ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে সেবনকারীর ঘুম কমে যায়।
- মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, রক্তচাপ বৃদ্ধি, পেশি ভাঙন, শরীরের অতি উচ্চ তাপমাত্রা, ফুসফুসের উচ্চ রক্তচাপ, বৃক্কবিকলাঙ্গতা, অবিচ্ছিন্ন বিভ্রান্তি, মারাত্মক হতাশা, উদ্বেগ, কিডনি ফেইলিওর ও হার্ট অ্যাটাক দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত নেশার ফলে মৃত্যুর ঘটতে পারে।
- শরীরে জমা হওয়া টক্সিন বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।
- কগনিটিভ বিহেভিয়রাল থেরাপি দিতে হবে যেটার মানে হচ্ছে নতুন এবং ড্রাগমুক্ত উপায়ে যে কোনো চাপ বা প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করতে শেখা।
- উইথড্রয়াল সিম্পটম অনুসারে চিকিৎসা দিতে হবে।
- মাদকাসক্তকে সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং ও চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
- রিল্যাপস বা পুনরায় আসক্তি এড়ানোর জন্য নজরদারি করতে হবে।
চিকিৎসা
সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে হলে মাদকের সহজলভ্যতা এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমাতে হবে। কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনিক পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। সাধারণ মানুষকে মাদকের বিষয়ে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নতুন কৌশলে অভিযান চালাতে হবে। ১৯৯০ সালে প্রণীত মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধন করে আরো কঠোর করতে হবে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সংশোধন করে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে দেশে অপরাধের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হয়ে এটি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
রেফারেন্স
1. World Drug Report 2021 [Internet]. United Nations: Office on Drugs and Crime. 2021 [cited 5 March 2022]
2. Psychoactive Drugs: 3. How does drug addiction affect the functioning of the brain? [Internet]. Greenfacts.org. 2022 [cited 5 March 2022]
3. Khan K. 36 lakh drug addicts in the country. Prothom Alo [Internet]. 2018 [cited 5 March 2022]
4. How many drugs are there in Bangladesh? [Internet]. Bdmorning.com. 2022 [cited 5 March 2022]
5. ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বা ‘আইস’ শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর?. [Internet]. 2022 [cited 5 March 2022]
6. Terrible drug ‘crystal meth’ spreading. [Internet]. 2022 [cited 5 March 2022]