Postpartum psychological issues and what to do
//

সন্তান জন্মদান পরবর্তী মানসিক সমস্যা এবং করণীয়

481 বার পড়া হয়েছে

আফসানা মৌরি সদ্য মাতৃত্বের স্বাদ নেয়া একজন নারী। মাত্র তিন মাস হলো সন্তানের জন্ম হয়েছে। প্রথমবারের মতো ফুটফুটে এক সন্তানের মা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তাঁর খুব খুশি থাকার কথা, অথচ তাঁর কিছু ভালো লাগেনা, বিষন্নতায় মন ছেয়ে থাকে এবং প্রায়শই কান্না পায়। চারপাশের সবকিছু তাঁর কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাঁর মনে হয় তিনি একজন ভালো মা নন এবং ঠিকমতো সন্তানের যত্ন নিতে পারছেন না। এসব মনে করে অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন তিনি। মাঝেমধ্যে নিজের সন্তানকেই অসহ্যকর লাগে তাঁর কাছে! 

শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের চারপাশে এমন অনেক মা ই প্রসব পরবর্তী সময়ে এ ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগেন। বাচ্চা জন্মের পর পরিবার এবং স্বজনদের সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বাচ্চাটি। সদ্যজাত শিশুসন্তানের যত্নে অতিব্যস্ত থাকায় কেউ মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল করেনা। ফলে প্রসব পরবর্তী সময়কালীন মায়েদের মানসিক সমস্যা হয়ে উঠতে পারে আরও জটিল। 

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বাংলাদেশের গ্রামীণ উপজেলায় করা এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সন্তান জন্মদান পরবর্তী সময়ে ২২% মা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হন। বিশ্বব্যাপী এ সমস্যায় আক্রান্ত মায়েদের হার ১০% থেকে ১৫%। বাংলাদেশে করা অন্য একটি গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে, মায়েদের প্রসব পরবর্তী বিষণ্নতা নবজাতকের শারীরিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব পরবর্তী বিষন্নতা কি (What is Postpartum Depression)?

এটি এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা যেটিতে মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এর লক্ষণ  সাধারণত প্রসব পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে থাকে এবং প্রায় এক বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। সন্তান জন্মদানের পর মায়েরা সাধারণত তিন ধরণের মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

১. বেবি ব্লুজ (Baby blues): প্রায় ৭০% নারী এতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এটি সাধারণত কয়েক ঘণ্টা  অথবা এক থেকে  দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এর জন্য তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। এর লক্ষণ সমূহঃ

  • হঠাৎ মুড পরিবর্তন। 
  • অতি আনন্দ বা অতি দুঃখ বোধ হওয়া।
  • অকারনে কান্না আসা। 
  • অধৈর্য এবং অস্থির লাগা।
  • একাকীত্ব বোধ হওয়া। 

২. পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন (Postpartum depression): এটি বাচ্চা প্রসবের পর কিছুদিন অথবা কয়েক মাসের মধ্যে ঘটতে পারে। এর লক্ষণ সমূহ অনেকটা বেবি ব্লুজ এর মতই কিন্তু মাত্রায় শক্তিশালী। এটি দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেয়া উচিত। গুরুতর অবস্থায় প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং কাউন্সেলিং নেয়া উচিত। 

৩. পোস্টপার্টাম সাইকোসিস (Postpartum psychosis): একটি নতুন মায়েদের জন্য খুবই মারাত্মক মানসিক অসুস্থতা। সন্তান জন্মের তিন মাসের মধ্যে এটি ঘটতে পারে। প্রতি ১০০০ জনে প্রায় ১ জন মহিলা এতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।  এর লক্ষণসমূহঃ

  • বাস্তবতার সাথে সম্পর্ক হারানো। 
  • হ্যালুসিনেশন হওয়া।  
  • অবাস্তব জিনিসে বিশ্বাস করা।
  • ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা।
  • রাগান্বিত এবং অস্থিরতা অনুভব করা। 
  • অদ্ভূত আচরণ করা। 

এ সমস্যায় আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে নিজেকে বা অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা গড়ে ওঠে। অবস্থা গুরুতর হওয়ার আগেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেয়া উচিত।

প্রসবোত্তর মানসিক সমস্যার সাধারণ উপসর্গ সমূহ/ Sign and Symptoms of Postpartum Psychological Issues

প্রসবোত্তর মানসিক সমস্যা বিষন্নতার ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব লক্ষণগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো:

  • বিষণ্ন মেজাজ।
  • অকারনে কান্না পাওয়া।
  • সবকিছুতে আগ্রহ হারানো এবং কোন কিছুতে আনন্দ খুঁজে না পাওয়া।
  • সন্তানের প্রতি আগ্রহ হারানো এবং বিরক্ত বোধ করা।
  • নিজেকে অযোগ্য এবং খারাপ মা মনে হওয়া।
  • সন্তানের সাথে খারাপ কিছু ঘটতে পারে এমন চিন্তায় সব সময় উদ্বিগ্ন থাকা।
  • মৃত্যু অথবা আত্মহত্যার চিন্তা করা।
  • কাউকে আঘাত করার চিন্তা করা। 
  • মনোযোগহীনতা এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা।

এক থেকে তিন শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে এসময়ে অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার (Obsessive compulsive disorder) এর লক্ষণ দেখা যায়। অবসেশনটা মূলত হয় সন্তানের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্বিগ্নতা এবং সন্তানের কোনো ক্ষতি হতে পারে এমন অযাচিত ভয় থেকে। কিছু  নারীদের ক্ষেত্রে প্যানিক ডিজঅর্ডারের লক্ষণও প্রকাশ পায়।

কেন হয় এই প্রসবত্তোর মানসিক সমস্যা? 

বিশেষজ্ঞদের মতে এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এবং ব্যক্তিবিশেষে এর কারণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেসব শারীরিক এবং মানসিক বিষয় এর পেছনে ভূমিকা রাখে সেগুলো হলোঃ

  • হরমোনঃ সন্তান জন্মদানের পর এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরোন হরমোনের মাত্রা হঠাৎ করে কমে যায়। সেই সাথে থাইরয়েড গ্রন্থি কর্তৃক উৎপাদিত অন্যান্য হরমোনের মাত্রাও দ্রুত কমে যায়। এ কারণে ক্লান্তি, মন্থরতা এবং বিষণ্নতা দেখা দেয়। 
  • ঘুমের অভাবঃ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলে ছোট ছোট সমস্যা মোকাবেলা করাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
  • উদ্বেগঃ নবজাতকের প্রয়োজনীয় যত্নে নিজের সক্ষমতা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে এটি হতে পারে। 
  • নিজস্ব ভাবমূর্তিঃ নিজেকে অনাকর্ষণীয় মনে করা, নিজের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা – এসব চিন্তা থেকে এ ধরণের মানসিক সমস্যা হতে পারে।

প্রসব পরবর্তী মানসিক সমস্যার ঝুঁকিসমূহ/ Risks of Postpartum Psychological Issues

যেসব বিষয়সমূহ বাচ্চা জন্মদান পরবর্তী মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারেঃ

  • গর্ভাবস্থায় অথবা তার পূর্বে ডিপ্রেশনের ইতিহাস থাকা। 
  • গর্ভাবস্থায় বয়স – বয়স যত কম, মানসিক সমস্যার সম্ভাবনা তত বেশি। 
  • গর্ভধারণ নিয়ে দোটানায় থাকা। 
  • মুড ডিজঅর্ডারের পারিবারিক ইতিহাস থাকা। 
  • জীবনের কোনো কঠিন সময়ের মধ্যে ধাকা। যেমনঃ চাকরি হারানো অথবা আর্থিক সমস্যা। 
  • নবজাতকের কোন শারীরিক সমস্যা থাকা। 
  • একত্রে জমজ অথবা তার বেশি সন্তান জন্ম দেয়া।
  • সামাজিক সহায়তার অভাব থাকা। 
  • একা বাস করা। 
  • বৈবাহিক বিরোধ থাকা। 

প্রসবোত্তর বিষণ্নতা কি ধরণের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে? 

প্রসবোত্তর বিষণ্নতা চিকিৎসা করা না হলে এটি মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ককে দূর্বল করে দেয় এবং পুরো পরিবারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে যেসব জটিলতা সৃষ্টি হতে পারেঃ

মায়ের ক্ষেত্রেঃ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা না নিলে এটি কয়েক মাস বা তারও বেশি স্থায়ী হতে পারে, এমনকি ক্রোনিক ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডারে (chronic depressive disorder) রূপান্তরিত হতে পারে। ভবিষ্যতেও ডিপ্রেশনে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

বাবার ক্ষেত্রেঃ যখন একজন নতুন মা ডিপ্রেশনে থাকেন, তখন সন্তানের বাবারও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

সন্তানের ক্ষেত্রেঃ মায়ের ডিপ্রেশনের কারণে সন্তানের ঘুম, খাওয়াতে সমস্যা, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কান্না করা, ভাষাগত বিকাশে বিলম্ব হওয়া ইত্যাদি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। 

প্রসবোত্তর বিষন্নতা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা 

  • অন্যান্য ডিপ্রেশন থেকে এর গুরুত্ব বা ভয়াবহতা কম- প্রকৃতপক্ষে এটি অন্যান্য ডিপ্রেশনের মতই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • এটি শুধুমাত্র হরমোনের পরিবর্তনের কারনে হয়- এটি আসলে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের কারণে হয়ে থাকে। 
  • এটি দ্রুত আপনাআপনি সেরে যায়- চিকিৎসা না নিলে এটি আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হতে পারে।
  • এটি শুধুমাত্র মহিলাদের আক্রান্ত করে- গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতি দশজনে একজন নতুন বাবা সন্তানের জন্মের পর বিষন্নতায় আক্রান্ত হন।

প্রসবোত্তর মানসিক সমস্যার চিকিৎসা/ Treatment of Postpartum Psychological Issues

লক্ষণের ধরণ এবং মাত্রার উপর ভিত্তি করে প্রসব পরবর্তী মানসিক সমস্যার চিকিৎসা দেয়া হয়।  চিকিৎসার উপায় সমূহঃ

  • অ্যান্টি-অ্যানক্সাইটি (Anti-anxiety) অথবা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (Antidepressant)  ঔষধ গ্রহণ।
  • সাইকোথেরাপি (Psychotherapy)- কগনিটিভ বিহেভিয়রাল থেরাপি (Cognitive behavioral therapy) এবং ইন্টারপারসোনাল থেরাপি (Interpersonal therapy)।
  • হরমোনাল থেরাপি।
  • ইমোশনাল সাপোর্টের জন্য ‘সাপোর্ট গ্রুপ’ এ অংশগ্রহণ। 
  • গুরুতর পর্যায়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্রেক্সানোলোন (Brexanolone) ঔষধ নেয়া যেতে পারে। 
  • পোস্টপার্টাম সাইকোসিস এর ক্ষেত্রে অ্যান্টিসাইকোটিক (Antipsychotic) ঔষধ নেয়া যেতে পারে। 
  • ডাক্তারের তদারকিতে থেকে স্তন্যপান করানো মায়েরাও ঔষধ গ্রহণ করতে পারে। 

প্রসবোত্তর মানসিক সমস্যা প্রতিরোধ 

গর্ভাবস্থায় অথবা সন্তান জন্মের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রসবোত্তর মানসিক সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

  • গর্ভাবস্থায়ঃ এ সময়ে ডিপ্রেশনের কোনো মৃদু উপসর্গ থাকলে তা কোনো ‘সাপোর্ট গ্রুপ’ এ অংশগ্রহণ, কাউন্সেলিং অথবা অন্যান্য থেরাপি নেয়ার মাধ্যমে সারিয়ে ফেলা যায়। এতে বাচ্চা জন্মের পর মায়ের বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। 
  • জন্মদানোত্তরঃ বাচ্চা জন্মের পর দ্রুত চেকআপ করিয়ে ডিপ্রেশনের লক্ষণ পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। সমস্যা যত তাড়াতাড়ি নির্ণয় করা হবে, চিকিৎসা তত দ্রুত শুরু করা যাবে। এতে এর ভয়াবহতা এবং জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়।
  • ব্যক্তিগত করণীয়ঃ পরিবারের সাহচর্যে থাকা, নিজেকে গুটিয়ে না নেয়া, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া এবং স্বজনদের কাছে নিজের সমস্যা খুলে বলা। 
  • পরিবারের করনীয়ঃ প্রসূতি মাকে সময় দেয়া, যে কোনো প্রয়োজনে সমর্থন এবং সহায়তা দেয়া, বিশ্রামের সুযোগ করে দেয়া এবং প্রসূতি মায়ের পছন্দের দিকগুলো গুরুত্ব দেয়া।

সন্তান জন্মদান পরবর্তী সময়ে মায়েদের মানসিক সমস্যা কে গুরুত্বহীন মনে করা উচিত নয়। যথাসময়ে সহায়তা এবং চিকিৎসা না পেলে অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি এর কারণে সন্তানকে খুন করার মত ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বাচ্চা জন্মের পরবর্তী সময়ে মায়েদের অস্বাভাবিক কোনো মানসিক লক্ষণ প্রকাশ পেলে হেলাফেলা না করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

তথ্যসূত্র

  1. Gausia K, Fisher C, Ali M, Oosthuizen J. Magnitude and contributory factors of postnatal depression: a community-based cohort study from a rural subdistrict of Bangladesh. Psychological Medicine. 2009;39(6):999-1007.
  2. Sharmin KN, Sarwar N, Mumu SJ, Taleb DA, Flora MS. Postnatal depression and infant growth in an urban area of Bangladesh. Midwifery. 2019;74:57-67.
  3. Bruce D. An Overview of Postpartum Depression. WebMD. 2020. Available from here
  4. Overview – Postnatal depression. nhs.uk. Available from here
  5. Postpartum depression. Marchofdimes.org. 2022. Available from here

আমি নুসরাত জাহান সূচনা। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে পঞ্চম বর্ষে অধ্যয়ন করছি। ঔষধশাস্ত্র থেকে বিভিন্ন ঔষধের ব্যবহার, প্রভাব, প্রতিক্রিয়া এবং রোগ-ব্যাধি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবং অর্জিত জ্ঞান সাধারণ মানুষের কাছে সহজ উপায়ে পৌঁছে দেয়া এবং সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজন অনুভব করি। আমি বরাবরই লিখতে পছন্দ করি। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তাই পছন্দের কাজের মাধ্যমে আমার অর্জিত নানাবিধ জ্ঞানকে সাবলীল এবং সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থাপন করতে অনলাইন প্লাটফর্মকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নেই।

1 Comment

একটি প্রত্যুত্তর করুন

Your email address will not be published.