রক্তচাপ হলো রক্তনালী গুলোর দেয়ালে রক্ত সঞ্চালনের কারণে উদ্ভূত চাপ। রক্ত সঞ্চালনের সময় ধমনীর গায়ে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ/ blood pressure বলে। সাধারণ অবস্থায় রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ মি.মি. পারদ চাপ। ১২০ কে হৃদ সংকোচন চাপ এবং ৮০ কে হৃদ প্রসারণ চাপ বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ হলো রক্তচাপ ১৪০/৯০ মি.মি. পারদ চাপের চেয়ে বেশি হওয়া। উচ্চ রক্তচাপ ইংরেজিতে হাইপারটেনশন (Hypertension) হিসেবে পরিচিত এবং বাংলাদেশে প্রেসার হিসেবে পরিচিত।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অতিরিক্ত ওজন, পর্যাপ্ত শরীরচর্চা না করা, অতিরিক্ত মদ পান করা, বয়সের আধিক্যতা ইত্যাদির কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। কিছু রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে যেমন-কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড রোগ, স্লিপ অ্যাপনিয়া, অটো ইমিউন রোগ ইত্যাদি। এমনকি কিছু ওষুধ গ্রহণ করার ফলে ও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে যেমন অ্যাসিটামিনোফেন, এস্ট্রোজেন, ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ড্রাগস যেমন সাইক্লোস্পোরিন,কর্টিকোস্টেরয়েড এবং মিনারেলোকর্টিকোয়েড, ইরিথ্রোপোয়েটিন, ফেন্টারমিন, টেস্টোস্টেরন ইত্যাদি।
স্বাভাবিক অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ না দেখা গেলেও রক্তচাপ যখন অনেক বেড়ে যায় তখন অনেকগুলো লক্ষণ দেখা যায়। স্ফিগনোম্যানোমিটারের সাহায্যে উচ্চ রক্তচাপ নিশ্চিত হওয়ার পর অথবা উচ্চ রক্তচাপের কোন লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা, যেসব খাবার উচ্চ রক্তচাপে ঝুঁকি বাড়ায় সেগুলো পরিহার করা, যেসব খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপে ঝুঁকি কমে সেগুলো গ্রহণ করা উচিত।
উচ্চ রক্তচাপের কারণসমূহ
যেসব কারণে আপনার রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে-
১. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া: অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দৈনিক সর্বোচ্চ ছয় গ্রাম লবণ খেতে পারবে। এই সীমা অতিক্রম করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক সীমার চেয়ে বেশি হতে পারে।
২. অতিরিক্ত ওজন: গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ রক্তচাপের সাথে অতিরিক্ত ওজনের সম্পর্ক রয়েছে।
৩. একজন মানুষ সুস্থ থাকতে হলে তাকে দৈনন্দিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। এর থেকে কম ঘুমালে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
৪. খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক সবজি ও ফলমূল না থাকলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫. অতিরিক্ত পরিমাণে মদ পান করা, চা কফি ও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার উচ্চ রক্তচাপের দিকে ধাবিত করে।
৬. পর্যাপ্ত শরীর-চর্চা না করা: সুস্থ থাকতে হলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ২০ থেকে ২৫ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীর চর্চা না করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৭. জিনগত কারণ: পিতা-মাতা, ভাই-বোন উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, জিনগত মিলের কারণে সে ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৮. বয়স জনিত কারণ: বয়স যখন ৬৫ বছরের উর্ধ্বে, তখন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে।
যেসব রোগের কারণে আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়-
১. কিডনি সমস্যা: কিডনি আমাদের শরীরের জন্য ছাঁকনি রূপে কাজ করে। কিডনিতে অসংখ্য ছাঁকনি রয়েছে যেগুলো শরীরের বর্জ্য পদার্থ গুলো বের করে দেয়। গ্লোমেরুলোনেফ্রিটিসের কারণে ছাঁকনিগুলো নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে শরীরে বর্জ্য পদার্থ গুলো জমা হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। কিডনিতে রক্ত সরবরাহকারী নালিগুলো সরু হয়ে গেলেও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
২. ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. স্লিপ অ্যাপনিয়া: এ রোগটি ঘুমের সময় হয়। ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটা, নাক ডাকা ইত্যাদি রোগটির লক্ষণ। দীর্ঘদিন এ রোগটিতে আক্রান্ত থাকলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
৪. থাইরয়েড রোগ: থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বেড়ে গেলে (Hyperthyroidism) অথবা কমে গেলে (Hypothyroidism) উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫. পিটুইটারি ও অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি সংক্রান্ত রোগ: কুশিং সিনড্রোম, এক্রোমেগালি ইত্যাদি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৬. অটো ইমিউন রোগ: যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের দেহ কোষ কে আক্রমণ করে তখন তাকে অটো ইমিউন রোগ বলে। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে কিছু অটো ইমিউন রোগ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। যেমন- লুপাস এবং স্ক্লেরোডার্মা।
যে ওষুধগুলো খেলে আপনার রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে-
- অ্যাসিটামিনোফেন
- এমফিটামিন
- অ্যান্টি-ডিপ্রেশেন্ট ড্রাগস যেমন বুপ্রোপিয়ন, ভেন্লাফেক্সিন এবং ডেসিপ্রামিন
- এস্ট্রোজেন
- ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ড্রাগস যেমন সাইক্লোস্পোরিন
- কর্টিকোস্টেরয়েড এবং মিনারেলোকর্টিকোয়েড
- ইরিথ্রোপোয়েটিন
- ফেন্টারমিন
- টেস্টোস্টেরন
- মাইগ্রেনের ওষুধ
- ইয়োহিমবিন
- থাইরয়েড হরমোন
উচ্চ রক্তচাপের সাথে জড়িত প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো
সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের রোগী কোন লক্ষণ অনুভব করতে পারেন না। তবে রক্তচাপ যখন অধিক পরিমাণে বেড়ে যায় তখন নিম্নোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা যেতে পারে-
- প্রচন্ড মাথা ব্যথা
- নাক থেকে রক্ত পড়া
- মাথা ঘোরা
- বুক ব্যাথা
- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
- প্রস্রাবে রক্ত
- শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা
রোগ নির্ণয়
রোগী নিজেই অথবা চিকিৎসক স্ফিগনোম্যানোমিটারের সাহায্যে রক্তচাপ পরিমাপ করতে পারেন। রক্তচাপ যখন অনেক বেশি থাকে চিকিৎসক আপনাকে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিবেন।
- প্রস্রাব পরীক্ষা
- ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম টেস্ট
- কিডনি আল্ট্রাসাউন্ড টেস্ট
উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ
চিকিৎসা গ্রহণের সময় আপনাকে নিম্নোক্ত সতর্কতা গুলো অবলম্বন করতে হবে-
১. উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য FDA অনুমোদিত কোন ওটিসি(over the counter) ড্রাগস নেই অর্থাৎ আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ কিনতে পারবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।
২. যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, তখন আপনার শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত বর্ণনা দিন এবং আপনার যদি অন্যান্য রোগ থাকে তা চিকিৎসককে অবহিত করুন।
৩. ওষুধ গ্রহণের ইতিহাস সম্পর্কে চিকিৎসককে অবহিত করুন এবং পূর্বের প্রেসক্রিপশনগুলো নিয়ে আসুন।
৪. চিকিৎসক আপনাকে আপনার শরীরের অবস্থার উপর ভিত্তি করে উচ্চ রক্তচাপে চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ড্রাগসগুলোর মধ্যে কিছু ড্রাগস গ্রহণের পরামর্শ দিবেন যেমন-বিটা ব্লকার(Beta Blocker), মূত্র বর্ধক(Diuretics), এসিই ইনহিবিটর(ACE Inhibitors), ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার(calcium channel blocker), অ্যাঞ্জিওটেনসিন II রিসেপ্টর ব্লকার(angiotensin II receptor blocker) ইত্যাদি।
৫. উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হঠাৎ করে বন্ধ করবেন না।
৬. চিকিৎসক কর্তৃক নির্দেশিত মাত্রায় ওষুধ গ্রহণ করুন।
৭. যেসব ওষুধ রক্তচাপ বাড়ায় সেগুলো উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সাথে খাবেন না।
আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের রোগী হন তাহলে নিম্নোক্ত খাবার গুলো পরিহার করুন-
১. লবণ: বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য লবণ ক্ষতিকারক। লবণ রক্তচাপ বাড়ানোর মাধ্যমে রোগীর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. কিছু মসলা এবং সস: অনেকেই লবণ ব্যবহার করার পরিবর্তে কিছু মসলা এবং সস ব্যবহার করেন। যেমন-কেচাপ, সয়া সস, সালাদ ড্রেসিং, বারবিকিউ সস এবং স্টেক সসের মতো জিনিসগুলিতে প্রচুর সোডিয়াম থাকে। ফলস্বরূপ, রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যায়।
৩. স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার: সেচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার রোগীর উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রচুর তেলে ভাজা জিনিস বা মাংসে ক্ষতিকর ফ্যাট থাকে যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
৪. ভাজা খাবার: ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ থাকে, যে দুটিই আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এড়ানো উচিত। গ্রিলিং, বেকিং এবং স্যুইং ইত্যাদি ভাজার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার: বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার উচ্চ রক্তচাপের দিকে ধাবিত করে।
৬. চিনি: গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে চিনি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। একজন পুরুষ দৈনিক সর্বোচ্চ ৩৬ গ্রাম এবং একজন মহিলা দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ গ্রাম চিনি খেতে পারেন। এর চেয়ে বেশি খেলে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৭. ফাস্টফুড: ফাস্ট-ফুড রেস্তোরাঁগুলিতে পরিবেশিত অনেক খাবার প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং হিমায়িত করা হয়, তারপরে ভাজা বা উচ্চ চর্বিযুক্ত তেলে রান্না করে রান্না করা হয়। এমনকি এ খাবারগুলোকে লবণাক্ত করা হয়। অধিক পরিমাণে ফাস্টফুড গ্রহণের ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
৮. টিনজাত, হিমায়িত, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার: এ খাবারগুলোতে স্বাদ সংরক্ষণের জন্য প্রচুর পরিমাণে লবণ যোগ করা হয়। তাই এসব খাবার গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৯. ক্যাফেইন: কফি, চা, এনার্জি ড্রিংকস এবং সোডা ইত্যাদি সবগুলোতেই ক্যাফেইন থাকে, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
১০. ডেলি মাংস এবং কিউরড মাংস: এ ধরনের মাংসগুলোকে অধিক পরিমাণে লবণ যোগ করার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। এসব খাবার গ্রহণ করলে রোগীর উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে নিম্নোক্ত খাবার গুলো বেশি বেশি গ্রহণ করুন-
১. সাইট্রাস ফল: জাম্বুরা, কমলা এবং লেবু সহ সাইট্রাস ফলগুলিতে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে যা রক্তচাপ কমানোর মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. গাজর: কুড়কুড়ে, মিষ্টি এবং পুষ্টিকর গাজর অনেক মানুষের খাবারের প্রধান সবজি। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফেনোলিক যৌগ রয়েছে, যেমন ক্লোরোজেনিক, পি-কৌমারিক এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড, যা রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, ফলস্বরূপ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৩. সেলারি: সেলারি একটি জনপ্রিয় সবজি। এতে থ্যালাইড (phthalides) নামক যৌগ রয়েছে, যা রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪. টমেটো: টমেটোতে পটাশিয়াম এবং লাইকোপিন রয়েছে যেগুলো রক্তচাপ হ্রাস করার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
৫. ব্রকলি: ব্রকলি এক ধরনের ফুলকপি, এতে ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬. মটরশুটি এবং মসুর ডাল: মটরশুটি এবং মসুর ডাল বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যেমন ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম, যেগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৭. বেরি: বেরিতে অ্যানথোসায়ানিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্থোসায়ানিনগুলি রক্তে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ানোর মাধ্যমে রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৮. আমলা: ২৮ টি গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন এটির পরিমাণ খাদ্য তালিকায় ৩০ গ্রাম বাড়ানো উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ৮ শতাংশ কমাতে সাহায্য করে।
৯. পেস্তাবাদাম: পেস্তাবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর, এতে রয়েছে পটাশিয়াম সহ বেশ কয়েকটি পুষ্টি উপাদান, যেগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
১০. গ্রীক দই: গ্রীক দই হল একটি পুষ্টিকর-ঘন দুগ্ধজাত পণ্য যা খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যেমন-পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১১. ভেষজ এবং মশলা: কিছু ভেষজ এবং মশলা যেমন-সেলারি বীজ, ধনেপাতা, জাফরান, লেমনগ্রাস, কালোজিরা, জিনসেং, দারুচিনি, এলাচ, মিষ্টি তুলসী এবং আদা ইত্যাদিতে কিছু শক্তিশালী যৌগ থাকে যা রক্তনালীগুলিকে শিথিল করার মাধ্যমে রক্তচাপ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
১২. পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে, যেগুলো উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।