Rheumatoid arthritis

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস — কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ; রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

544 বার পড়া হয়েছে

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কাকে বলে?

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস/ Rheumatoid Arthritis হলো এমন একটি প্রদাহজনিত অটোইমিউন (autoimmune) রোগ, হাতের ও পায়ের আঙুলের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা দিয়ে রোগের সূত্রপাত হয়ে রোগীদের হাঁটু, গোড়ালি, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট গুলোতে ব্যথা অনুভূত হয়, জয়েন্ট ফুলে যায় এবং পেশি শক্ত হয়ে যায়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে রোগীর দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা‌ দেহের সুস্থ কোষকে আক্রমণ করে প্রদাহের সৃষ্টি করে। প্রাথমিক‌ ধাপে চিকিৎসা না করালে এটি দেহের একটি নির্দিষ্ট অঙ্গে সীমাবদ্ধ না থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমনকি চোখ, ফুসফুসের মতো অন্যান্য অঙ্গকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দিলেই একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস — কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ; রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে আঙুলের জয়েন্টের সাইনোভিয়াল ঝিল্লির প্রদাহ। ছবিঃ WikiMedia

অনেকের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা দেখা যায় যে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস শুধুমাত্র বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে হয়। কিন্তু এ রোগটি যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে, এমনকি শিশুদেরও হতে পারে, যা জুভেনাল আর্থ্রাইটিস/ Juvenile arthritis নামে পরিচিত। অতএব, যেকোনো বয়সেই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দিলে, রক্ত এবং ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগটি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত ওষুধ সেবন করতে হবে। বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করার মাধ্যমে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু এর সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। সুতরাং, ‌যে বিষয়গুলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, একজন মানুষকে সে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণসমূহ

  • জিনগত পরিবর্তনের কারণে
  • হরমোনের পরিবর্তনের কারণে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া
  • সংক্রমণের কারণে
  • শারীরিক বা মানসিক আঘাত
  • ধূমপান করা
  • অতিরিক্ত মদ্যপান করা
  • স্থূলতা
  • পরিবেশ দূষণকারী পদার্থের সংস্পর্শে আসা

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর  প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো

  • ভোরবেলায় ৩০ মিনিটের বেশি আড়ষ্ঠতা থাকা
  • ক্ষুধা কমে যাওয়া
  • ক্লান্তি
  • রক্ত কমে যাওয়া
  • আক্রান্ত জয়েন্ট গুলো ফুলে যাওয়া
  • জয়েন্ট গুলো বিকৃত হয়ে যাওয়া
  • জ্বর
  • মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করা

যে বিষয়গুলো রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর ঝুঁকি বাড়ায়

  • বয়স: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। যাদের বয়স ৬০ বছরের উর্ধ্বে, তাদের মধ্যে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বেশি দেখা যায়।
  • লিঙ্গ: গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা দুই থেকে তিনগুণ বেশি।
  • জিনগত বৈশিষ্ট্য: যেসব মানুষের মধ্যে হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন ক্লাস টু জিনোটাইপ পাওয়া যায়, তারা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর প্রতি বেশি সংবেদনশীল।
  • ধূমপান: গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, যারা ধূমপান করে তাদের রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • জন্মদানের ইতিহাস: যেসব মহিলা কখনোই বাচ্চা জন্ম দেয় নাই, তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
  • স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজনের কারণে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নির্ণয়

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস দুইভাবে নির্ণয় করা যায়:

  • রক্ত পরীক্ষা
  • ইমেজিং পরীক্ষা
  • রক্ত পরীক্ষা: এরিথ্রোসাইট সেডিমেন্টেশন রেট/ Erythrocyte sedimentation rate (ESR) বেড়ে গেলে, সি-রিএকটিভ প্রোটিনের/ C-reactive Protien পরিমাণ বেড়ে গেলে, রক্তে রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর এবং এন্টি সাইক্লিক সিট্রুলিন পেপটাইড অ্যান্টিবডি উপস্থিত থাকলে রোগী রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত।
  • ইমেজিং পরীক্ষা: রোগীর জয়েন্ট, হাড়  ক্ষয় হয়েছে কিনা এটা নির্ণয় করার জন্য ইমেজিং পরীক্ষা করা হয়। ইমেজিং পরীক্ষায় যদি কোন ক্ষয় ধরা না পড়ে, তাহলে এটা বুঝা যায় যে, রোগী প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে এবং‌ জয়েন্ট গুলো অক্ষত রয়েছে।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর চিকিৎসা

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ নিরাময় নেই। রিমোটিক আর্থ্রাইটিস এ ব্যবহৃত ওষুধ গুলোর লক্ষ্য হলো-প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা, উপসর্গগুলো উপশম করা, দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক জটিলতা হ্রাস করা, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি প্রতিরোধ করা ইত্যাদি।

নন ডিজিজ মডিফাইং এন্টি-রিউমেটিক  ড্রাগস (Non Disease Modifying Anti-Rheumatic Drugs)

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের শনাক্তকরণের আগ পর্যন্ত জয়েন্টের ব্যথা দ্রুত উপশম করতে এবং প্রদাহ কমাতে নন-ডিজিজ মডিফাইং এন্টি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ড্রাগস ব্যবহার হয়, যেমন- নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) এবং কর্টিকোস্টেরয়েড। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিশ্চিত হওয়ার পরেও এ ধরনের ওষুধ গুলো ডিজিজ মডিফাইং এন্টি-রিউমেটিক  ড্রাগস (DMARDs) এর পাশাপাশি (adjunct therapy) ব্যবহৃত হয়।

নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস প্রেসক্রাইব করার ক্ষেত্রে‌ ডাক্তারদেরকে বিশেষ কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে, যেমন- 

  • যাদের অন্ত্রে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদেরকে সিলেক্টিভ কক্স টু ইনহিবিটর দিতে হবে।
  • যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার সাথে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
  • হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে না, কারণ, এ ওষুধটি শরীরে তরল ধরে রাখে, যার ফলে হার্ট ফেইলুর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

কর্টিকোস্টেরয়েড (Corticosteroid) প্রেসক্রাইব করার সময় ডাক্তারকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে-

  • কর্টিকোস্টেরয়েড দীর্ঘ সময়ের জন্য বা উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করা যাবেনা, কারণ, তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির ফলে হাড় ক্ষয় হওয়া শুরু করে।
  • যেহেতু কর্টিকোস্টেরয়েড অস্টিওপোরেসিসকে ত্বরান্বিত করে,‌ ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি ব্যবহার করলে, ওষুধটির পাশাপাশি বিস্ফসফোনেট প্রেসক্রাইব করতে হবে, যাতে করে রোগীর অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি কমে যায়।

ডিজিজ মডিফাইং এন্টি-রিউমেটিক ড্রাগস (Disease modifying antirheumatic drugs):

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নির্ণীত হওয়ার পর, রোগীকে Disease modifying antirheumatic drugs (DMARDs) প্রেসক্রাইব করতে হবে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের অগ্রগতিকে বন্ধ করতে এবং প্রদাহ বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে এ ধরনের ওষুধ ফলপ্রসূ এবং কার্যকরী। এ ধরনের কিছু

ওষুধের উদাহরণ হলো- Methotrexate, Leflunomide, Hydroxy choloroquine, Sulfasalazine, Minocycline ইত্যাদি।

এ ধরনের ওষুধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাক্তারকে অবশ্যই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে এবং সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে-

  • গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে মিথোট্রেক্সেট, লেফলুনোমাইড প্রেসক্রাইব করা যাবে না, কারণ, এরা গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের ক্ষতি করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের‌ ক্ষেত্রে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন প্রেসক্রাইব করা যাবে, কারণ, এ ওষুধটি গর্ভাবস্থায় ফলপ্রসূ এবং নিরাপদ।
  • যেসব রোগীর সালফা এলার্জি রয়েছে ,তাদেরকে সালফাস্যালাজিন দেওয়া যাবে না।
  • যেসব রোগীর পূর্ব থেকেই যকৃতে রোগ রয়েছে, তাদেরকে মিথোট্রেক্সেট,‌ লেফলুনোমাইড প্রেসক্রাইব করা যাবে না, কারণ, কারন এরা হেপাটোটক্সিসিটি দেখায়।
  • যেসব রোগীর আলোক সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাদেরকে মিনোসাইক্লিন প্রেসক্রাইব করা যাবে না।

বায়োলজিক (Biologic) ড্রাগস:

শুধুমাত্র ডিজিজ মডিফাইং এন্টি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ড্রাগস (DMARDs) দ্বারা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণে না আসলে, এর সঙ্গে বায়োলজিক (Biologic) ড্রাগ যুক্ত করতে হবে।

বায়োলজিক ওষুধ গুলো হলো- 

  • TNF Alpha Inhibitors যেমন- Infliximab, Etanercept, Adalimumab  ইত্যাদি।
  • B Cell Depleting Agents যেমন- Rituximab
  • Interleukin-6 Inhibitors যেমন- Tocilizumab
  • Interleukin-1 Inhibitors যেমন- Anakinra

এ ধরনের ওষুধ প্রেসক্রাইব করার ক্ষেত্রে ডাক্তারকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে-

  • টিএনঅ্যাফ আলফা ইনহিবিটর প্রেসক্রাইব করার পূর্বে রোগীর যক্ষা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে হবে, কারণ, এ ধরনের ওষুধ গুলো যক্ষাকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যায়।
  • যেসব রোগী সুচ ভয় পায়, তাদেরকে Etanercept, Adalimumab (এ ওষুধ দুটো সাবকিউটেনিয়াস রুটে রোগী সেল্ফ এডমিনিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে গ্রহণ করে, সাধারণত প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দুই সপ্তাহে একবার) এর পরিবর্তে আইভি ইনফিউশন এর মাধ্যমে ইনফ্লিক্সিমাব দেওয়া সুবিধাজনক (সাধারণত প্রতি আট সপ্তাহের একবার দিতে হয়), ফলস্বরূপ, রোগী সন্তুষ্ট হয় এবং ওষুধ গ্যাপ দেওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যার ফলে, চিকিৎসা কার্যকরী হয়।
  • যেসব রোগীদেরকে টোসিলিজুমাব প্রেসক্রাইব করা হয়, কিছুদিন পর পর তাদের লিভার ফাংশন টেস্ট করতে হবে। এলএফটি এর মান (LFTs) নরমাল লেভেলের আপার লিমিট থেকে ৫ গুণেরও বেশি‌ হয়ে গেলে, এ ওষুধটি বন্ধ করে দিতে হবে।
  • টিএনঅ্যাফ আলফা ইনহিবিটর এবং মিথোট্রেক্সেট দিয়ে যখন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা, তখন অ্যানাকিনরা প্রেসক্রাইব করা যেতে পারে এবং ‌ এ ওষুধটি টিএনঅ্যাফ আলফা ইনহিবিটরের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।

সার্জারি:

যখন উপরোক্ত ওষুধগুলো জয়েন্টের ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে পারেনা, তখন বিকল্প হিসেবে সার্জারি করা যেতে পারে। সাধারণত তিন ধরনের সার্জারি করা হয় সেগুলো হলো-

  • জয়েন্ট প্রতিস্থাপন
  • আর্থ্রোডেসিস
  • ‌সাইনোভেক্টমি

তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে,‌ সার্জারির মাধ্যমে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়, এটি শুধুমাত্র ব্যথা কমাতে এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

সর্বোপরি, যেহেতু রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা যায় না, এ রোগটি একজন মানুষের মধ্যে দেখা যাওয়ার পূর্বে তার জীবনধারায় এমন কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে, যেন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস‌ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়, যেমন-

  • ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করতে হবে
  • মানসিক চাপ কমাতে হবে
  • যেহেতু রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রগতিশীল রোগ, প্রাথমিক লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা যাওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ওষুধ গ্রহণ করতে হবে, যাতে জয়েন্ট গুলো আক্রান্ত না হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে
  • নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করতে হবে
  • যেহেতু মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, খাদ্যতালিকায় মাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে
  • পরিবেশ দূষণকারী রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ কমাতে হবে

আমি আবু বকর ছিদ্দিক, পড়াশুনা করছি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ৫ম বর্ষে।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বাস্হ্য সচেতনতার অভাবে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী রোগের সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্হ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করা দেশের মানুষের স্বাস্হ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভবিষ্যতে আমি একজন গবেষক হতে চাই।

একটি প্রত্যুত্তর করুন

Your email address will not be published.