বর্তমান বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়ায়/ Anemia ভুগে এবং ক্রমেই এতে রোগাক্রান্তের হার ও মৃত্যুহার বেড়েই চলছে। এটি মানুষের কর্মক্ষমতা তাৎপর্যপূর্ণ হারে কমিয়ে দেয় এবং স্নায়ুবিক বিকাশে বাধাপ্রদান করে। আমাদের দেশেও রক্তস্বল্পতা একটি অতি-পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। শরীরের রক্তে যখন লোহিত রক্ত কনিকা/ Red Blood Cells বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে যায়, তখন সেই অবস্থাকে রক্তশূন্যতা বলে। হিমোগ্লোবিন রক্তের একটি বিশেষ রঞ্জক পদার্থ। এর প্রধান কাজ হল শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা। হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কণিকায় থাকে। তাই লোহিত রক্ত কণিকা কমে গিয়েও রক্তশূন্যতা হতে পারে।
নারীদের স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষদের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম।
- পুরুষের রক্তের হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ – ১৭.৫ গ্রাম।
- নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১২ – ১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার। এর চেয়ে কম হলে রক্তশূন্যতা ধরা হয়।
আমাদের দেশে সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীরা রক্তশূন্যতায় বেশি ভুগে। অপুষ্টিজনিত কারনে শিশুদের মধ্যেও এনিমিয়ার হার যথেষ্ট বেশি। এক বছর বয়স থেকে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত সাধারণভাবে শিশুর হিমোগ্লোবিন ১১ গ্রাম বা ডেসিলিটারের নিচে থাকা রক্তস্বল্পতার নির্দেশ করে। রক্তশূন্যতা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়। এটি কখনোবা নিজেই একটি রোগ হতে পারে, আবার কখনো অন্য রোগের সঙ্গে একটি উপসর্গ হতে পারে।
রক্তশূন্যতার কারন
নানাবিধ কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তের হিমোগ্লোবিন/ Hemoglobin তৈরির অন্যতম প্রধান কাঁচামাল হলো আয়রন। কোনো কারণে শরীরে আয়রনের উপস্থিতি কমে গেলে রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া হতে পারে। একে বলে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা। মেডিকেলের ভাষায় ‘আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া – iron deficiency anemia’। এছাড়া শরীরে ভিটামিন বি ও ফলিক এসিডের ঘাটতি, দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ কিছু রোগ (যেমন কিডনি ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, আর্থ্রাইটিস), বিশেষ কিছু ইনফেকশন জনিত সমস্যা(যেমন যক্ষা), ব্লাড ক্যানসার, থ্যালাসেমিয়া, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, রক্ত উৎপাদনকারীর মজ্জার সমস্যা, রক্তের লোহিত কণিকা নিজে নিজে ভেঙে যাওয়া, দীর্ঘ রক্তক্ষরণ ইত্যাদি কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে।
আয়রনের ঘাটতি কীভাবে হয়?
বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য গরিব দেশগুলোতে নানা রকম রক্তশূন্যতার মধ্যে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার হারই সবচেয়ে বেশি। নারীদের মধ্যে এর হার পুরুষের তুলনায় বেশি। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের ৭০ ভাগ নারী তাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন। নারীদের গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই রক্তশূন্যতার কারণে মাতৃমৃত্যুর হারও বেড়ে যায়।
১. আয়রনের ঘাটতি হওয়ার প্রধান কারণ অপুষ্টি/ Malnutrition. খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন না থাকলে শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দেয়।
২. গর্ভাবস্থায় এবং শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় বাড়তি আয়রনের প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় সেই অনুযায়ী গর্ভবতী মায়েদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয় না। আবার কিছু পরিবার বা এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের কম খেতে দেওয়া হয়। যেসব নারী অতিরিক্ত ঋতুস্রাবজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাদেরও আয়রনজনিত রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
৩. পেপটিক আলসার, কৃমি, পাইলস, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষরণ হলে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা হতে পারে।
৪. অনেক মানুষ আছে যারা বেশি বেশি গ্যাসট্রিকের ওষুধ খায় অর্থাৎ গ্যাসট্রিকের সমস্যা হলেও খায়, আবার না হলেও মুড়িমুড়কির মত করে খায়, তাদের রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। কারণ, আয়রন শোষণের জন্য গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড প্রয়োজন কিন্তু গ্যাসট্রিকের ওষুধগুলো(রেনিটিডিন,ফেমোটিডিন,ওমিপ্রাজল) এই গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের পরিমান কমিয়ে দেয়। যার ফলে শরীরে আয়রনের পর্যাপ্ত শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
রক্তস্বল্পতার লক্ষণ বা বুঝার উপায় কি?
চোখ-মুখ ফ্যাকাশে মনে হওয়া,শরীর দুর্বলতা, ক্লান্তি, অবসাদ, ক্ষুধামন্দ, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, মুখে-ঠোঁটে ঘা ইত্যাদি রক্তশূন্যতার সাধারণ লক্ষণ। তাছাড়া আরও রয়েছে-
- চুল ঝরে যাওয়া ও চুলের ঝলমলে উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। চুল ফেটে যায়, নখ ফেটে যায়।
- হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। হার্টবিট বেড়ে যায়।
- রক্তশূন্যতার মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট, শুোয়া অবস্থায় বুকে চাপ লাগা এমনকি হার্ট ফেইলিউরও হতে পারে। তখন পায়ে পানি জমে যায়।
- দীর্ঘস্থায়ী রক্তশূন্যতায় খাদ্যনালির ওপরের দিক চেপে যায়। ফলে খাবার গিলতে কষ্ট হয় ও ব্যাথা অনুভব হয়।
- স্নায়বিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষত ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি-১২ ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায় প্রান্তীয় ও কেন্দ্রীয় স্নায়ু আক্রান্ত হয়।
- লোহিত কণিকা ভেঙে রক্তশূন্যতা হলে জন্ডিস দেখা দেয়।
- নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক হয় অনিয়মিত ইত্যাদি।
রক্তশূন্যতা সন্দেহ করা হলে রোগীর রক্তের একটি কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট করা জরুরি। এটি দেখে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ও লোহিত কণিকার পরিমাণ, আকার, রঞ্জক পদার্থের ঘনত্ব ও মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার আরবিসি ইনডেক্স দেখে রক্তশূন্যতার কারণ অনুমান করতে পারেন।
রক্তশূন্যতার প্রতিকার
রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হলে প্রথমেই এর তীব্রতা সম্পর্কে জানতে হবে এবং চিহ্নিত করতে হবে কোন খাদ্য উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
- আয়রন ঘাটতির কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে আয়রন সাপ্লিমেন্ট দেয়া হয় এবং সেই সাথে খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার।
- লালশাক, কচুশাক, ডাঁটাশাক, পালংশাক, শিম ও শিমের বিচি, কাঁচা কলা, সামুদ্রিক মাছ, গিলা কলিজা , গরু-খাসির মাংসে প্রচুর আয়রন থাকে।
- আয়রন সাপ্লিমেন্ট দুই ভাবে দেওয়া হয়। মুখে খাওয়ার জন্য ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল আকারে ও শিরায় ইনজেকশন হিসেবে। রোগী কোন উপায়ে নিতে হবে সেটা রোগীর অবস্থা বুঝে ডাক্তার পরামর্শ দেন।
- আয়রন ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতার চিকিৎসায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ফেরাস সালফেটের প্রচলিত দৈনিক ডোজ হচ্ছে ৩০০-৩২৫গ্রাম।
এছাড়া, ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি-১২ ঘাটতির কারনেও শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে।
- ফলিক এসিড ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে দৈনিক ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করা, যতদিন না শরীরে এর ঘাটতি পূরণ হয়। ‘হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল এর নির্দেশিকা অনুযায়ী একজন এনিমিয়া রোগী প্রতিদিন 400 এমসিজি (মাইক্রোগ্রাম) ফলিক অ্যাসিড গ্রহণের দরকার হয়। মাতৃত্বকালীন সময় এর পরিমান আরও বাড়ানো হয়, সেটা সর্বোচ্চ ১০০০ এমসিজি পর্যন্ত।
- ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে মানসম্মত চিকিৎসা হচ্ছে পেশীতে হাইড্রক্সি-কোবালামিন ১এমজি (মিলিগ্রাম) ইনজেকশন সপ্তাহে ৩ দিন করে দুই সপ্তাহ, পরবর্তীতে প্রতি ৩মাসে একবার ১ এমজি ইনজেকশন।
রক্তশূন্যতার চিকিৎসা গ্রহনে সতর্কতা
১. সিডারোব্ল্যাস্টিক এনিমিয়া(Sideroblastic Anemia) আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ফেরাস সালফেট ট্যাবলেট পরিহার করা উচিত। কেননা তাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও অস্থি মজ্জার অক্ষমতার কারণে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করতে পারেনা। এমতাবস্থায় তাদের ফেরাস সালফেট খাওয়ালে সেটা শরীরে অতিরিক্ত আয়রন হিসেবে জমা হয় এবং বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যার ফলে হার্ট, লিভার এবং অন্তক্ষরা গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় আয়রন টেবলেট নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে যে ম্যালেরিয়া জীবাণু ঐসব লোহিত রক্তকনাকে সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে যাদের মধ্যে আয়রনের প্রাচুর্যতা রয়েছে।
২. খাবার খাওয়ার ১ঘন্টা আগেই আয়রন টেবলেট সেবন করা উচিত। কেননা খাওয়ার সাথে কিংবা পরে নিলে খাদ্যদ্রব্যাদি আয়রন শোষনে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
৩. যাদের আয়রন ম্যালএবজর্পশন সম্পর্কিত সমস্যা আছে তাদের জন্য শিরায় আয়রন ইনজেকশন প্রয়োগ করতে হবে।
৪. ফেনাইটোইন ও মেথোট্রেক্সেট সহ কিছু কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ফলিক এসিডের ঘাটতিতে ভোগা রোগীদের ব্যবহার করা অনুচিত। কেননা এই সকল ঔষধ শরীরে ফলিক এসিড শোষনের হার অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
৫. কিছু এন্টিবায়োটিক্স (যেমন নিওমাইসিন, জেন্টামাইসিন, টোবরামাইসিন), ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে বহুল ব্যবহৃত ঔষধ (মেটফরমিন) এবং মৃগীরোগে ব্যবহৃত ঔষধ (ফেনোবারবিটাল) শরীরে ভিটামিন বি12 এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। যেকারণে একজন এনিমিয়া রোগী উপরোল্লিখিত ঔষধগুলো নিয়ে থাকলে সেই ব্যাপারে ডাক্তারকে অবহিত করা প্রয়োজন।
রক্তশূন্যতার প্রতিকারে খাবার
১. সবুজ শাক: সবুজ শাকে রয়েছে আয়রণ, প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এগুলো রক্তের জন্য খুব ভালো। তাই রক্ত ভালো রাখতে সবুজ শাকসবজি প্রত্যেকদিনের খাবারের তালিকায় রাখেন।
২. জামঃ জাম খেলে শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। জামে থাকা আয়রন এবং ভিটামিন সি রক্ত পরিশোধন করতে সহায়তা করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।
৩. আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ শরীরে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কচু,জাম,লিচু, কলিজা, মাংস, সিদ্ধ আলু ইত্যাদিতে আয়রণ পাওয়া যায়। এসব খাবার শরীরের রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪. নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলাঃ কমলা লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এসব উপকার পেতে নিয়মিত কমলা খাওয়া উচিত। এছাড়া কলা, আঙ্গুর, গাজর ইত্যাদি আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫. মধু: মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। এই উপাদানগুলো শরীরে হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। তাই রক্তশূন্যতা দূর করতে প্রতিদিন ১ চামচ মধুর সাথে পরিমাণগত লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে উপকারিতা পাওয়া যায়।
৬.আনারঃ আনার আয়রন সমৃদ্ধ ও ভিটামিন বি যুক্ত ফল।এটি দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। এটি দুর্বলতা,ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত আনার খেলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করা যায়।
৭. অন্যান্য কিছু খাবার যেমনঃ ডিম, সয়াবিন, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা দেহের রক্ত স্বল্পতা রোধ করে।
রক্তশূন্যতায় কেবল আয়রন বড়ি কিনে খাওয়াই উপযুক্ত সমাধান নয়। এর যথাযথ চিকিৎসার জন্য কিসের অভাবে রক্তস্বল্পতা হচ্ছে সেটা আগে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসাগ্রহন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশুদের বেড়ে উঠা ও নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য একটা বড় হুমকি হলো আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা। অথচ এর সমাধান খুব সহজ, শুধু দরকার একটু সচেতনতা।