রক্তশূন্যতা নাকি জীবনীশক্তির শূন্যতা
/

রক্তশূন্যতা নাকি জীবনীশক্তির শূন্যতা

385 বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জনস্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রক্তশূন্যতা। আমাদের দেশে রক্তশূন্যতাকে পাবলিক হেলথ প্রবলেম হিসেবে শনাক্ত করা হলেও এ ব্যাপারে এখনো ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে ওঠেনি। তাই প্রতি বছরই রক্তশূন্যতাজনিত জটিলতায় মারা যাচ্ছে অনেক মা ও শিশু। রক্তশূন্যতার প্রায় ৫০ শতাংশই হয়ে থাকে শরীরে লৌহ বা আয়রনের অভাবে এবং এতে বিশ্বে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ প্রতিবছর মারা যাচ্ছে, যার চারভাগের তিনভাগ মৃত্যু ঘটে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়।

রক্তশূন্যতা

রক্ত মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রক্ত গঠিত হয় রক্তরস এবং রক্তকণিকা নিয়ে। রক্তকণিকা তিন প্রকার। যথাঃ লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা। রক্তের লোহিত রক্তকণিকার মাধ্যমেই বেচেঁ থাকার প্রধান উপকরণ অক্সিজেন পৌঁছে যায় আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে। আবার এর মাধ্যমেই কোষে তৈরী হওয়া বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড নিষ্কাশিত হয় দেহ থেকে। লোহিত রক্তকণিকায় থাকা হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ রক্তের অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবহনে মূল ভূমিকা পালন করে।

রক্তশূন্যতা হলো রক্তের এমন একটি রোগ যেখানে রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক সংখ্যার চেয়ে কম থাকে অর্থাৎ, রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা

রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা সাধারণত লিঙ্গ, বয়স এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থার উপর নির্ভর করে।  অস্বাভাবিকভাবে কম মাত্রার হিমোগ্লোবিন রক্তশূন্যতা নির্দেশ করে।

বয়স ও লিঙ্গভেদে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রার তালিকাঃ

বয়স ও লিঙ্গমাত্রা (গ্রাম/ডেসিলিটার)
নবজাতক১৪ – ২৪
০ – ২ সপ্তাহ ১২ – ২০
২ – ৬ মাস১০ – ১৭
৬ মাস – ১ বছর৯.৫ – ১৪
১ – ৬ বছর৯.৫ – ১৪
৬ – ১৮ বছর১০ – ১৫.৫
পূর্ণবয়স্ক পুরুষ১৪ – ১৮
পূর্ণবয়স্ক নারী১২ – ১৬
গর্ভবতী নারী>১১

রক্তশূন্যতার প্রকারভেদ

  • আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা

শরীরে পর্যাপ্ত আয়রনের অভাবে আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান আয়রন। পর্যাপ্ত আয়রন ছাড়া, শরীর যথেষ্ট পরিমাণ হিমোগ্লোবিন তৈরী করতে পারে না। ফলে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়।

  • সিকেল সেল রক্তশূন্যতা

সিকেল সেল রক্তশূন্যতা একটি বংশগত রক্তের ব্যাধি।  এটি ত্রুটিপূর্ণ গঠনের হিমোগ্লোবিন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

  • হেমোলাইটিক রক্তশূন্যতা

হেমোলাইটিক রক্তশূন্যতা তখন ঘটে যখন লোহিত রক্তকণিকা তৈরির চেয়ে দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায়।  লোহিত রক্তকণিকার এই দ্রুত ধ্বংস হওয়াকে বলা হয় হেমোলাইসিস।

  • অ্যাপ্লাস্টিক রক্তশূন্যতা

শরীর যখন পর্যাপ্ত নতুন রক্তকণিকা তৈরি করা বন্ধ করে দেয় তখন অ্যাপ্লাস্টিক রক্তশূন্যতা ঘটে থাকে।  এই অবস্থা অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাতের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া যে কোনও বয়সে হতে পারে। 

  • পারনিসাস রক্তশূন্যতা

পারনিসাস রক্তশূন্যতা তখন ঘটে যখন অন্ত্র সঠিকভাবে ভিটামিন বি-১২ শোষণ করতে পারে না। এটা হলো এক ধরনের ভিটামিন বি-১২ রক্তশূন্যতা।

লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য শরীরের ভিটামিন বি-১২ এর প্রয়োজন হয়। মুরগির মাংস, শেলফিশ, ডিম এবং দুগ্ধজাত খাবার থেকে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।

একটি বিশেষ প্রোটিন আছে, যাকে বলা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর। এটি ভিটামিন বি-১২ কে আবদ্ধ করে যাতে এটি অন্ত্রে শোষিত হতে পারে। এই প্রোটিন পাকস্থলীর কোষ দ্বারা নির্গত হয়।  যখন পাকস্থলী যথেষ্ট পরিমাণ অভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর তৈরি করতে পারে না তখন অন্ত্র সঠিকভাবে ভিটামিন বি-১২ শোষণ করতে পারে না।

  • থ্যালাসেমিয়া

থ্যালাসেমিয়া হল উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত(অর্থাৎ, জিনের মাধ্যমে বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিশুদের কাছে চলে যাওয়া) রক্তের ব্যাধি। এক্ষেত্রে শরীরে হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না। যখন পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন থাকে না, তখন শরীরের লোহিত রক্তকণিকা সঠিকভাবে কাজ করে না এবং তারা অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।

রক্তশূন্যতার লক্ষণসমূহ

রক্তশূন্যতার লক্ষণসমূহ নির্ভর করে রক্তশূন্যতার কারণ এবং প্রকারভেদের উপর। লক্ষণসমূহ হলোঃ

  • ক্লান্তিভাব অনুভব করা 
  • শরীর দুর্বল লাগা
  • ত্বকের রং ফ্যাকাশে বা হলুদ হয়ে যাওয়া
  • হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হওয়া
  • অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভব হওয়া
  • পায়ে ক্র্যাম্প হওয়া
  • মনযোগের অভাব
  • নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
  • মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা করা
  • বুকে ব্যাথা করা
  • হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসা

রক্তশূন্যতার শুরুতে এর লক্ষণসমূহ সাধারণত পরিলক্ষিত হয় না। সময়ের সাথে সাথে এর প্রভাব বাড়তে থাকলে লক্ষণসমূহ দেখা দেয়।

রক্তশূন্যতার কারণসমূহ

  • আয়রনের অভাব

আয়রন হিমোগ্লোবিনের প্রধান গাঠনিক উপাদান। শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

  • ভিটামিনের অভাব

লোহিত রক্তকণিকা তৈরীর জন্য শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর প্রয়োজন। শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব দেখা দিলে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন হ্রাস পায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

  • দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাওয়া

লোহিত রক্তকণিকা নিয়মিত তৈরী হয় এবং ধ্বংস হয়। লোহিত রক্তকণিকা তৈরী হওয়ার আগেই যদি দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরী না হওয়া

শরীর লোহিত রক্তকণিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরী করতে না পারলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

  • অভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টর

এটি একটি প্রোটিন যা ভিটামিন বি-১২ কে আবদ্ধ করে অন্ত্র থেকে শোষিত হতে সাহায্য করে। এটির অভাব হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

  • রোগের জটিলতা

দীর্ঘ দিন যাবৎ কিডনি জটিলতা, ক্যানসার, আলসার, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থাকলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

  • গর্ভাবস্থায়

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার শরীরে রক্ত উৎপাদনের জন্য মায়ের শরীরে আয়রনের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

  • ঔষধজনিত সমস্যা

কিছু ঔষধ শরীরে লোহিত রক্তকণিকাকে ধ্বংস করে। এসব ঔষধের ব্যবহারের ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ 

  • সেফালোস্পোরিন (Cephalosporin)
  • লিভোডোপা (Levodopa)
  • ডাপসন (Dapson)
  • লিভোফ্লক্সাসিন (Levofloxacin)
  • রজঃচক্র

মেয়েদের ক্ষেত্রে রজঃচক্রের সময় অনেকটা রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

  • অস্থিমজ্জায় সমস্যা

লোহিত রক্তকণিকা তৈরী হয় লাল অস্থিমজ্জা থেকে। তাই অস্থিমজ্জায় কোন সমস্যা দেখা দিলে লোহিত রক্তকণিকা তৈরীতে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

  • জেনেটিক সমস্যা

জিনগত সমস্যা থাকলে থ্যালাসেমিয়া বা সিকেল সেল রক্তশূন্যতা হতে পারে।

রক্তশূন্যতা নির্ণয়ের পরীক্ষা

রক্তাল্পতা নির্ণয় করার জন্য, আপনার চিকিৎসক আপনাকে আপনার চিকিৎসা এবং পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন, শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং রক্ত ​​পরীক্ষার নির্দেশ দেবেন। পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

Complete Blood Count – CBC: প্রথমত রক্ত ​​​​পরীক্ষা করে রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ জেনে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। সিবিসি রক্তের নমুনায় রক্তের কোষের সংখ্যা গণনা করতে ব্যবহৃত হয়।

যদি রক্তশূন্যতা থাকে তবে আরও কিছু পরীক্ষা করে রোগের ধরন এবং এটি কোন পর্যায়ে আছে তা নির্ধারণ করা যেতে পারে। পরীক্ষাগুলো হলোঃ

  • রেটিকুলোসাইট গণনা

অস্থিমজ্জা দ্রুত হারে লোহিত রক্তকণিকা ​​​​তৈরি করছে কিনা তা দেখার জন্য রেটিকুলোসাইট গণনা করা হয়।

  • সিরাম আয়রন এবং ফেরিটিন পরীক্ষা

শরীরে আয়রনের পরিমাণ জানতে সিরাম আয়রন এবং ফেরিটিন পরীক্ষা করা হয়।

  • পেরিফেরাল ব্লাড স্মিয়ার

লোহিত রক্তকণিকা অস্বাভাবিক আকৃতির কিনা তা দেখতে পেরিফেরাল ব্লাড স্মিয়ার পরীক্ষা করা হয়।

  • হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস

অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস করা হয়, যা থ্যালাসেমিয়া এবং সিকেল সেল রক্তশূন্যতায় উপস্থিত থাকে।

  • অসমোটিক ভঙ্গুরতা পরীক্ষা

লাল রক্তকণিকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভঙ্গুর কিনা তা দেখতে অসমোটিক ভঙ্গুরতা পরীক্ষাটি করা হয়।

এছাড়াও যদি রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে রক্তপাতের কারণ জানতে এন্ডোস্কোপি এবং কোলনোস্কোপি করা হয়ে থাকে।

প্রতিকার/চিকিৎসা

  • প্রতিটি আালাদা ধরণের রক্তাশূন্যতার জন্য আলাদা ধরণের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়
  • আয়রনের অভাবজনিত রক্তাশূন্যতার জন্য শিরায় আয়রন থেরাপি, রক্ত সঞ্চালন, বা সিন্থেটিক হরমোন এরিথ্রোপয়েটিনের ইনজেকশন প্রয়োজন হতে পারে
  • সিকেল সেল অ্যানিমিয়া নিরাময়ে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে
  • ভিটামিন বি-১২ অভাবজনিত রক্তশূন্যতার চিকিৎসায় সম্পূরক ভিটামিন বি-১২ গ্রহণ করা যেতে পারে
  • অস্থিমজ্জার রোগের সাথে যুক্ত রক্তাশূন্যতার জন্য কেমোথেরাপি বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে
  • অক্সিজেন ও ব্যথা উপশমকারী ঔষধ যথাক্রমে মুখে বা শিরার মাধ্যমে দিলে ব্যথা কমাতে এবং সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার জটিলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে

রোগ প্রতিরোধ

রক্তশূন্যতা হওয়ার পর চিকিৎসা করার চেয়ে রক্তশূন্যতা যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা ভালো। এজন্যই বলা হয়ে থাকে, “প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম”।

  • রক্তক্ষরণের চিকিৎসা

ভারী মাসিক বা পেটের সমস্যা থাকলে, যেমনঃ ঘন ঘন ডায়রিয়ায় মলের সাথে রক্ত গেলে চিকিৎসা করতে হবে।

  • আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়া

উচ্চ মাত্রার আয়রন যুক্ত খাবার, যেমনঃ চর্বিহীন মাংস, মুরগির মাংস, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি এবং মটরশুটি খেলে আয়রনের মাত্রা বাড়তে পারে।

  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া

কমলার রস, স্ট্রবেরি এবং ব্রকোলির মতো ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি শরীরকে পানীয় এবং খাবার থেকে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করতে পারে।

  • ভিটামিন বি-১২ যুক্ত খাবার খাওয়া

ভিটামিন বি-১২ যুক্ত খাবার, যেমনঃ গরুর মাংস, ডিম ইত্যাদি খাওয়া।

  • সুষম খাদ্য 

সুষম খাদ্য শরীরের সব ধরনের খাদ্য উপাদানের চাহিদা পূরণ করে। তাই সবসময় সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

  • চা বা কফি পান সীমিত করা 

খাবারের সাথে চা বা কফি পান সীমিত করা। খাবারের সাথে কফি এবং চা পান করলে এগুলো শরীরের জন্য আয়রন শোষণ করা কঠিন করে তুলতে পারে।

  • ঔষধ গ্রহণে সতর্কতা

যেসব ঔষধ শরীরে লোহিত রক্তকণিকাকে ধ্বংস করে সেগুলো গ্রহণে সতর্ক হওয়া। যেমনঃ ক্যালসিয়াম বড়ি শরীরের আয়রন শোষণকে প্রভাবিত করতে পারে।

সর্বোপরি, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরিশেষে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এখনো রক্তশূন্যতায় ভুগছে। এমনকি এদের মধ্যে অধিকাংশ জানেই না যে তারা রক্তশূন্যতায় ভুগছে। তাই জনগণের মনে রক্তশূন্যতা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে না পারলে জনসংখ্যার এই বড় অংশ ধীরে ধীরে জীবনীশক্তি হারিয়ে ফেলবে। ফলে জনগণ বড় স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হবে। যা দেশ এবং জনগণ, কারো জন্যই সুখকর হবে না। তাই সময় থাকতেই সচেতন হতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রেফারেন্স

১. Dyker AG. Hypertension. In: Walker R. & Whittlesea C. Clinical Pharmacy and Therapeutics. 5th edition. Toronto: Elesvier publishing; 2012. page 769-802.

আমি হৃদয় কুমার ঘোষ। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগে পঞ্চম বর্ষে অধ্যয়নরত। নিজের মনের অভিব্যক্তিগুলোকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করার জন্যই মূলত লেখালেখিতে হাতেখড়ি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহও সবসময়ই ছিল। নিজের জানাকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও লেখার চেষ্টা করতাম।

তাছাড়া একজন বিতার্কিক হিসেবে যেকোনো বিষয়কে যুক্তিসঙ্গতভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনের যে চর্চা তা আমার লেখালেখিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে আমি মনে করি। একটা কিছু লেখার পরে বার বার পড়ি আর ভাবতে থাকি, কিভাবে লেখাটাকে আরও সহজ, সুন্দর এবং সাবলীলভাবে পাঠকের নিকট উপস্থাপন করা যায়। এটা করতে গিয়ে আমি কখনোই বিরক্তবোধ করি না বরং আমার ভালো লাগে। আর ভালো লাগার জায়গায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে আমি কখনোই কার্পণ্য করি না।

একটি প্রত্যুত্তর করুন

Your email address will not be published.