ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে
/

ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে কি জানতে চান – Straight Facts on Sleep Aids

339 বার পড়া হয়েছে

ওভার-দ্য-কাউন্টার ঘুমের ওষুধ (Over-the-counter/OTC Sleep Aids)

সঙ্গানুযায়ী যে সকল ঔষধ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ কিংবা প্রেসক্রিপশন ব্যতীত ক্রয়-বিক্রয় যোগ্য তারাই ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) ঘুমের ওষুধ হিসেবে পরিচিত। যে সকল নিদ্রা সহায়ক ঔষধ বিনা প্রেসক্রিপশনে ক্রয় যোগ্য তাদেরকে ওভার-দ্য-কাউন্টার স্লিপ এইড বলে।

অ্যান্টিহিস্টামিন (Antihistamine)

অ্যান্টিহিস্টামিন শ্রেণীর ড্রাগ যেমন ডাইফেনহাইড্রামিন (Diphenhydramine) বা ডক্সিলামিন (Doxylamine) জাতীয় ঔষধ জনপ্রিয় ওটিসি স্লিপ এইড (OTC Sleep Aid) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হিস্টামিন (Histamine) মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ থেকে নিঃসরিত এমন একটি নিউরোট্রান্সমিটার (Neurotransmitter) যা মানুষকে সজাগ রাখার কাজ করে। অ্যান্টিহিস্টামিন হিস্টামিন এর কার্যক্রমকে প্রতিহত করে এবং নিদ্রার উদ্রেক করে।

অনিদ্রার ভেষজ প্রতিকার (Herbal Remedies)

স্ট্যান্টার্ড ওটিসি স্লিপ এইড (Standard OTC Sleep Aid) ছাড়াও এমন কিছু ওটিসি স্লিপ এইড রয়েছে যাতে অ্যান্টিহিস্টামিন থাকে না। এগুলো বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমন ভেষজ নির্যাস, অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি। নিদ্রা উদ্রেককারী এমন কিছু ভেষজ উপাদান হলো:

ক্যামোমাইল (Chamomile- Matricaria camomilla)

ক্যামোমাইল ফুল মিশ্রিত চা তে থাকে বিভিন্ন রকমের ফ্লেভনয়েডস (Flavonoids) যা স্নায়ুকে শিথিল করে এবং আরামদায়ক নিদ্রা নিশ্চিত করে।

কাভা (Kava- Piper methysticum)

কাভার শিকড়ে ডাইহাইড্রোপাইরোন (Dihydropyrone) নামে এক ধরনের পদার্থ থাকে যা পেশীকে শিথিল করে ও ঘুমের গুণগত মান বৃদ্ধি করে। কাভাকে অ্যালকোহলে মিশিয়ে পান করলে তা চেতনাকে ঘোলাটে করে যা গাড়ি চালানোর মতো কার্যক্রমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

ল্যাভেন্ডার (Lavender- Lavender angustifolia and other variations)

ল্যাভেন্ডার থেকে তৈরিকৃত তেল শক্তিশালী প্রেসক্রিপশন ট্রাঙ্কুইলাইজার (ঘুমের ঔষধ- Tranquilizers) যেমন বেঞ্জোডায়াজেপিনস্ (Benzodiazepines), বারবিচিউরেটস্ (Barbiturates) এর মতই কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কে শিথিল করে।

প্যাশন ফুল (Passionflower- Passiflora incarnate)

প্যাশন ফ্লাওয়ার বা মে-পপ (May-Pop) নামে পরিচিত ফুল থেকে তৈরিকৃত নির্যাস স্নায়ুর স্থিরতা ও শিথিলতাকে বৃদ্ধি করে এবং উদ্বেগ হৃাস করে।

ভ্যালরিয়ান (Valerian- Valeriana officinalis)

ভ্যালরিয়ান গাছের শিকড় এর নির্যাস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কে শিথিল করে, নিদ্রা উদ্রেক করে ও অনিদ্রা চিকিৎসায় সহায়তা করে।

ওটিসি স্লিপ এইড ব্যবহারে করণীয় ও বর্জনীয়

অত্যন্ত দরকারি না হলে কোন ধরনের নিদ্রা সহায়ক ঔষধই সেবন করা উচিত নয়। ওটিসি স্লিপ এইড বিশেষ করে অ্যান্টিহিস্টামিন ধারণকারী ঔষধ ব্যবহারে করণীয় ও বর্জনীয় গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

করণীয়

  • সাময়িক অনিদ্রা (১-২ রাত বা কয়েক দিন) বা জেট ল্যাগ উপশমে ওটিসি স্লিপ এইড ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • অনিদ্রার সমস্যা ৭-১০ দিনের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ওটিসি ঔষধ সেবনের আগে প্যাকেটের গায়ে প্রদত্ত নির্দেশিকা ভালোমতো পড়ে নিতে হবে ও মেনে চলতে হবে
  • প্যাকেটের গায়ে সুপারিশকৃত নির্ধারিত মাত্রায় ঔষধ সেবন করতে হবে।

ওটিসি ঘুমের বড়ি গ্রহণে সতর্কতা

  • ওটিসি স্লিপ এইড কে অ্যালকোহল কিংবা প্রেসক্রিপশন স্লিপ এইড (Prescription Sleep Aids) যেমন বেঞ্জোডায়াজেপিন বা বারবিচিউরেটস্ এর সাথে একসাথে সেবন করলে গুরুতর অবসাদ, অতিমাত্রায় দিবানিদ্রা সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • দিবানিদ্রা ও অ্যালার্জি বা ঠান্ডা সমস্যার জন্য একই সময়ে আলাদা ভাবে অ্যান্টিহিস্টামিন সমৃদ্ধ ঔষধ সেবন পরিহার করতে হবে।
  • গর্ভবতী নারী ও অন্যান্য জটিল রোগ যেমন হৃদরোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বর্ধিত প্রোস্টেট গ্রন্থি তে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ওটিসি স্লিপ এইড গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।
  • টানা ৭-১০ দিনের বেশি ওটিসি স্লিপ এইড সেবন ঔষধের উপর নির্ভরতা ও আসক্তি তৈরি করতে পারে।
  • ওটিসি স্লিপ এইড সেবনের পর গাড়ি চালানো নিরাপদ নয়।
  • গুরুতর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ ঔষধ সেবন বন্ধ করতে হবে।

মেলাটোনিন (Melatonin)

সম্প্রতি, সাময়িক অনিদ্রা ও জেট ল্যাগ (Jet lag) চিকিৎসায় মেলাটোনিন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মেলাটোনিন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা মস্তিষ্কের কেন্দ্রে অবস্থিত পিনিয়াল গ্রন্থি (Pineal gland) থেকে নিঃসৃত হয়। এটি পিনিয়াল গ্রন্থিতে বিভিন্ন এনজাইমেটিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামিনো এসিড ট্রিপটোফেন (Tryptophan) হতে সেরোটোনিন (Serotonin) হয়ে মেলাটোনিনে পরিণত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মানবদেহে মেলাটোনিনের উৎপাদন রাতের চেয়ে দিনের বেলা বেশি হয়। সন্ধ্যা নামতে শুরু করলেই দেহে মেলাটোনিনের উৎপাদন বেড়ে যায়, যা মধ্যরাতে (৩ টা বাজে) সর্বাধিক মাত্রায় পৌঁছায়। তাই ধারণা করা হয়, মেলাটোনিন নিদ্রার উদ্রেক এ সহায়তা করে।

নিদ্রা, দেহের জৈবিক ছন্দ ও জেট ল্যাগ এ মেলাটোনিনের প্রভাব

ঘুমের উপর মেলাটোনিনের প্রভাব নির্ণয় করার লক্ষ্যে পরিচালিত নানান গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে, বাহ্যিকভাবে প্রদত্ত মেলাটোনিন শুধুমাত্র তখনই নিদ্রার উদ্রেক করতে পারে যখন দেহের অভ্যন্তরীণ মেলাটোনিনের মাত্রা কম থাকে যা সাধারণত দিনের বেলায় দেখা যায়। রাতের বেলা দেহের অভ্যন্তরীণ (পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে উৎপাদিত) মেলাটোনিনের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে, যেই মাত্রার তদতিরিক্ত বৃদ্ধি বাহ্যিক কোন পীলের মাধ্যমে সম্ভব নয় তাই বলা যায় রাত্রিকালীন অনিদ্রার চিকিৎসায় মেলাটোনিন কার্যকরী নয়

তবে, যেহেতু মেলাটোনিন পিল দিনের বেলায় দেহে মেলাটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে তাই মেলাটোনিন পিল জেট ল্যাগ বা শিফট ওয়ার্ক জাতীয় সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

সুরক্ষার মানদণ্ডে মেলাটোনিন

দিনের বেলায় অতি স্বল্পমাত্রায় সেবনকৃত মেলাটোনিন (৩ মিলিগ্রাম) এর পরিমাণ রক্তে প্রবেশের পর ৫০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে যা পরবর্তীতে যকৃত দ্বারা দ্রুত বিপাক হয় এবং ঘন্টা খানেকের মধ্যে অর্ধেকের মত মেলাটোনিন শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ৩ মিলিগ্রাম মেলাটোনিন শরীর থেকে সম্পূর্ণ নিষ্কাশন হতে ৬-১০ ঘন্টার মত সময় লাগে। মেলাটোনিনের সম্ভাব্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও এখনো জানা যায়নি। তাই, মেলাটোনিনকে চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি নিরাপদ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবেই অভিহিত করা হয়েছে।

ওভার-দ্য-কাউন্টার স্টিমুলেন্টস (Over-the-counter/OTC Stimulants)

স্টিমুলেন্টস বা উত্তেজনা বর্ধক ঔষধ প্রায়শই তন্দ্রা দূরীকরণে, কর্মশক্তি বৃদ্ধিতে এবং ওজন কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্টিমুলেন্টস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমকে উজ্জীবিত কোরে চেতনাশক্তি বা সর্তকতাকে বৃদ্ধি করে, হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, রক্তচাপ, মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ সহ নানান শারীরিক প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে।

স্টিমুলেন্টস তন্দ্রা দূর করে স্নায়ুকে সজাগ রাখলেও এদের কিছু ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন উদ্বেগ, পেশি কাঁপুনি, অনিদ্রা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। কিছু কিছু স্টিমুলেন্টস এর উপর্যুপূরী গ্রহণে আসক্তি তৈরি হতে পারে এবং তাদের ব্যবহার হঠাৎ বন্ধ করে দিলে “ঊইথড্রয়াল সিনড্রোম” (Withdrawal Syndrome) বা প্রত্যাহার ঘটিত কিছু লক্ষণ যেমন বিষন্নতা, ক্লান্তি, বিরক্তি, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

প্রথম শ্রেণীর ওটিসি স্টিমুলেন্টস (OTC Stimulants) গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ক্যাফেইন (Caffein), এফেড্রিন ও সিউডোএফেড্রিন (Ephedrine and Pseudoephedrine) এবং উদ্দীপকের ভেষজ বৈচিত্র (Herbal varieties of stimulants)।

ক্যাফেইন (Caffein)

ক্যাফেইন বা যাকে আমরা সাধারণ ভাষায় কফি হিসেবে চিনি, হচ্ছে সর্বাধিক ব্যবহৃত ওটিসি স্টিমুলেন্টস। ক্যাফেইন শুধুমাত্র চা, কফি বা তরল পানীয়তেই নয় বরং ক্যাফেইন পিল (Caffein Pill) নামক ক্যাফেইনবাহী ওটিসি স্টিমুলেন্টস এও অধিক মাত্রায় পাওয়া যায়। ক্যাফেইন তন্দ্রা মোকাবেলায় ও জাগরণে সহায়তা করে। দৈনিক অধিক মাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ ও তা হঠাৎ পরিহার করলে অন্যান্য স্টিমুলেন্টস এর মতই নানাবিধ জটিলতা যেমন অনিদ্রা, উদ্বেগ, মাথাব্যথা, স্নায়বিক দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী নারীদের দৈনিক ৩০০ মিলিগ্রাম এর বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ উচিত নয়। অধিক মাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ এড়াতে নিম্নোক্ত পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। 

  • দৈনিক ২০০-৩০০  মিলিগ্রাম এর বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ হতে বিরত থাকা
  • ভেষজ চা (Herbal Tea) বা ক্যাফেইন বিহীন পানীয় (Decaffeinated Drink) পান করা
  • কর্মশক্তি বৃদ্ধিতে শরীর চর্চা করা
  • নিয়মিত খাবার খাওয়া
  • বিকেল ৪ টার পর ক্যাফেইন গ্রহণ পরিহার করা।

এফেড্রিন ও সিউডোএফেড্রিন (Ephedrine and Pseudoephedrine)

এফেড্রিন (Ephedrine) একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজক যা ক্ষুধা দমন, শক্তি বৃদ্ধি, পেশি বৃদ্ধি, ক্রীড়াকৌশল ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময় নিদ্রাহীন অবস্থায় থাকতে সাহায্য করে। এতদসত্ত্বেও এর সেবন অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো ঘটনাকে প্ররোচিত করে। তাই ২০০৪ সালে ইউএস এফডিএ (US FDA) এর ব্যবহারকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

সিউডোএফেড্রিনও (Pseudoephedrine) এফেড্রিন এর মতই একটি স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজক পদার্থ যা এলার্জি বা ঠান্ডার ঔষধে নাসিকা নিষ্কাশনকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি এফেড্রিনের তুলনায় কম শক্তিশালী হলেও অস্থিরতা সূচনা করতে পারে ও ঘুমে বিলম্ব ঘটাতে পারে।

ভেষজ উদ্দীপক ও শক্তি বৃদ্ধিকারী (Herbal Stimulants and Energy Boosters)

সম্প্রতি ‘ভেষজ’ বা ‘প্রাকৃতিক’ হিসেবে কিছু ওটিসি স্টিমুলেন্টস বিক্রয় হতে দেখা গেছে, যা আসলে উত্তেজক পদার্থ যেমন ক্যাফেইন, এফেড্রিন ও সিউডোএফেড্রিন এরই প্রাকৃতিক ভেষজরূপ। যেমন- চীনা ভেষজ “মা হুয়াং” (Chinese herb “ma huang”) যাতে রয়েছে এফেড্রা (Ephedra), “গুয়ারানা বা কোলা” (Guarana or Kola) যা কফি বিনের মতোই ক্যাফেইনের প্রাকৃতিক উৎস ইত্যাদি। এ ধরনের ‘ভেষজ’ বা ‘প্রাকৃতিক’ নামে বিক্রয়কৃত ওটিসি স্টিমুলেন্টস অন্যান্য স্টিমুলেন্টস এর মতোই ক্ষতিকারক।

আমি জান্নাতুল ফেরদৌস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়নরত আছি। ফার্মেসি বিভাগে অধ্যয়নের সুবাদে ঔষধ সম্পর্কে অর্জিত সামান্য জ্ঞান আমাকে বুঝতে শিখিয়েছে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঔষধের সঠিক ব্যবহার কতটা প্রয়োজনীয় এবং এর অনিরাপদ ও অনিয়ন্ত্রিত সেবন কিভাবে দিন দিন আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে চলেছে। তাই, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষালব্ধ এই স্বল্প জ্ঞানকে আমি আমার লেখার মাধ্যমে সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। এবং প্রত্যাশা করি ভবিষ্যতে গবেষণামূলক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আমি ঔষধ স্বাস্ত্র্যকে আরো সমৃদ্ধ করতে সচেষ্ট হব।

একটি প্রত্যুত্তর করুন

Your email address will not be published.